《는 কাদম্বরী। স্থানে উপস্থিত হইয়া এই এক অদ্ভুত ব্যাপার দেখিতেছি। কস্তার যেরূপ মনোহর আকার ও মধুর স্বর, তাহাতে কোন ক্রমে মাহৰী বোধ হয় না, দেবকল্প সন্দেহ নাই। ধরণীতলে কি সৌদামিনীর উদ্ভব হইতে পারে ? যাহা হউক, যদি আমার দর্শনপথ হইতে সহসা অন্তস্থিত না হন, যদি কৈলাসশিখরে অথবা গগনমণ্ডলে হঠাৎ আরোহণ না করেন, তাহা হইলে, আমি ইহার নাম, ধাম ও তপস্তায় অভিনিবেশের কারণ, সমুদায় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিব । এই স্থির করিয়া সেই মন্দিরের এক পার্শ্বে উপবেশনপূৰ্ব্বক সঙ্গীতসমাপ্তির অবসর প্রতীক্ষা করিয়া রছিলেন । ৮ সঙ্গীত সমাপ্ত হইলে বীণা নিস্তব্ধ হইল। কন্যা গাত্রোথানপূৰ্ব্বক ভক্তিভাবে ভগবান ত্রিলোচনকে প্রদক্ষিণ করিয়া প্ৰণাম করিলেন। অনন্তর পবিত্র নেত্রপাত দ্বারা রাজকুমারকে পরিতৃপ্ত করিয়া সাদর সম্ভাষণে স্বাগত জিজ্ঞাসা করিলেন ও বিনীতভাবে কহিলেন মহাভাগ! আশ্রমে চলুন ও অতিথিসৎকার গ্রহণ করিয়া চরিতার্থ করুন। রাজকুমার সম্ভাষণমাত্রেই আপনাকে অমুগৃহীত ও চরিতার্থ বোধ করিয়া ভক্তিপূর্বক তাপসীকে প্রণাম করিলেন ও শিষ্যের দ্যায় তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন । যাইতে যাইতে চিন্তা করিলেন তাপসী আমাকে দেখিয়া অন্তস্থিত হইলেন না ; প্রত্যুত দাক্ষিণ্য প্রকাশ করিয়া অতিথিসৎকার গ্রহণ করিতে অনুরোধ করিলেন। বোধ হয়, জিজ্ঞাসা করিলে আত্মবৃত্তান্তও বলিতে পারেন। ৯ কতক দূর যাইয়া এক গিরিগুহা দেখিলেন। উহার পুরোভাগ তমালবনে আবৃত ; তথায় দিনমণি দৃষ্টিগোচর হয় না। পার্থে
পাতা:কাদম্বরী (চতুর্থ সংস্করণ).djvu/৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।