পাতা:কাব্যগ্রন্থ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু পারে “আমি যে বিদেশী অতিথি, আমায় ব্যথিয়ো না পরিহাসে, কে তুমি নিদয় নীরব ললনা কোথায় আনিলে দাসে।” অমনি রমণী কনকদণ্ড আঘাত করিল ভূমে, আঁধার হইয়া গেল সে ভবন রাশিরাশি ধূপ-ধূমে। বাজিয়া উঠিল শতেক শঙ্খ হুলু কলরব সাথে,— প্রবেশ করিল বৃদ্ধ বিপ্ৰ ধান্য দূৰ্ব্বা হাতে। পশ্চাতে তা’র বাধি দুই সার কিরাত নারীর দল কেহ বহে মালা, কেহ বা চামর, কেহ বা তীৰ্থজল । নীরবে সকলে দাড়ায়ে রহিল,—বৃদ্ধ আসনে বসি’ নীরবে গণনা করিতে লাগিল গৃহতলে খড়ি কসি । আঁকিতে লাগিল কত না চক্র, কত না রেখার জাল, গণনার শেষে কহিল, “এখন হয়েছে লগ্ন কাল।” শয়ন ছাড়িয়া উঠিলা রমণী বদন করিয়া নত, আমিও উঠিয়া দাড়াইনু পাশে মন্ত্র-চালিতমত । নারীগণ সবে ঘেরিয়া দাড়াল একটি কথা না বলি, দোহাকার মাথে ফুলদল সাথে বরষি’ লাজাঞ্জলি । পুরোহিত শুধু মন্ত্ৰ পড়িল আশিষ করিয়া দোহে,— কি ভাষা কি কথা কিছু না বুঝিনু, দাড়ায়ে রহিমু মোহে। অজানিত বধূ নীরবে সঁপিল—শিহরিয়া কলেবর— হিমের মতন মোরে করে, তার তপ্ত কোমল কর । চলি’ গেল ধীরে বৃদ্ধ বিপ্র ;–পশ্চাতে বাধি সার গেল নারীদল মাথায় কক্ষে মঙ্গল-উপচার। ՎԶԳ Տ