পার্থীর পালক খেলাধুলো সব রহিল পড়িয়া ছুটে চলে আসে মেয়ে— বলে তাড়াতাড়ি—“ওমা দেখ দেখ, কি এনেছি দেখ, চেয়ে ।” আঁখির পাতায় হাসি চমকায়, ঠোটে নেচে ওঠে হাসি, হয়ে যায় ভুল বাধেনাকে চুল, খুলে পড়ে কেশরাশি। দুটি হাত তার ঘিরিয়া ঘিরিয়া রাঙা চুড়ি কয়-গাছি, করতালি পেয়ে বেজে ওঠে তা’রা কেঁপে ওঠে তা’রা নাচি । মায়ের গলায় বাহু দুটি বেঁধে কোলে এসে বসে মেয়ে । বলে তাড়াতাড়ি—“ওমা দেখ দেখ কি এনেছি দেখ চেয়ে ।” সোনালী রঙের পাখীর পালক ধোওয়া সে সোনার স্রোতে, খসে এল যেন তরুণ আলোক অরুণের পাখা হ’তে ; নয়ন-দুলানো কোমল পরশ ঘুমের পরশ যথা, মাখা যেন তায় মেঘের কাহিনী নীল আকাশের কথা । ছোটখাট নীড়, শাবকের ভিড়, কতমত কলরব, প্রভাতের স্থখ, উড়িবার আশা, মনে পড়ে যেন সব । লয়ে সে পালক কপোলে বুলায়, আঁখিতে বুলায় মেয়ে, বলে হেসে হেসে—“ওমা দেখ দেখ, কি এনেছি দেখ চেয়ে ।” ఏN)
পাতা:কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।