চিরদিন অসীম অতৃপ্তি লয়ে’ মাঝে মাঝে ফেলিছ নিশ্বাস, আকাশ-প্রান্তরে তাই কেঁদে উঠে প্রলয়-বাতাস, জগতের উর্ণাজাল ছিড়ে টুটে কোথা যায় ভাগি । অনন্ত আঁধার মাঝে কেহ তব নাহিক দোসর, পশে না তোমার প্রাণে আমাদের হৃদয়ের আশ, পশে না তোমার কানে তামাদের পার্থীদের স্বর—— সহ ত্ৰ জগতে মিলি’ রচে তব বিজন প্রবাস, সহস্ৰ শবদে মিলি’ বাধে তব নিঃশব্দের ঘর, হাসি, কাদি, ভালবাসি, নাই তব হাসি, কাল্লা, মায়', তাসি থাকি চলে যাই কত ছায়া কত উপছায়! । (○) তাই কি ? সকলি মায়া ? আসে, থাকে, আর মিলে যায় তুমি শুধু একা আছ, আর সব আছে আর নাই ? যুগ যুগান্তর ধরে ফুল ফুটে, ফুল ঝরে তাই ? প্রাণ পেয়ে প্রাণ দিই সে কি শুধু মরণের পায় ? এ ফুল চাহে না কেহ ? লহে না এ পূজা-উপহার ? এ প্রাণ, প্রাণের আশা, টুটে কি অসীম শূন্ত্যতায় ? বিশ্বের উঠিছে গান, বধিরত বসি’ সিংহাসনে ? বিশ্বের কাদিছে প্রাণ, শূন্যে ঝরে অশ্রুবারিধারা ? যুগযুগান্তের প্রেম কে লইবে, নাই ত্রিভুবনে ? > と○
পাতা:কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।