এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
পত্রের প্রত্যাশা দরশ পরশ যত সকল বন্ধন গত মাঝে ব্যবধান কত নদীগিরি পারে,— স্মৃতি শুধু মেত বয়ে' দুল্ল করম্পর্শ লয়ে’ অক্ষরের মালা হয়ে’ বাধে জনারে । কই চিঠি । এল নিশা, তমিরে ডুবিল দিশ, সার দিবসের তৃষা রয়ে গেল মনে । অন্ধকার নদী তারে বেড়াতেছি ফিরে ফিরে, প্রকৃতির শান্তি ধীরে পশিছে জীবনে । ক্রমে তাঁখি ছলছল, দুটি ফোটা অশ্রুজল ভিজায় কপোলতল, শুকায় বাতাসে । ক্রমে আশ্র নাহি বয়, ললাট শীতল হয় রজনীর শান্তিময় শীতল নিশ্বাসে | আকাশে অসংখ্য তারা চিন্তাহারা ক্লান্তিহার, হৃদয় বিস্ময়ে সারা হেরি একদিঠি । আর যে আসে ন| আসে মুক্ত এই মহাকাশে প্রতি সন্ধ্যা পরকাশে অসীমের চিঠি । অনন্ত বারত বহে, অন্ধকার হ’তে কহে, “যে রহে যে নাহি রহে কেহ নহে একা ! সীমা-পরপারে থাকি? সেথা হ’তে সবে ডাকি, প্রতি রাত্রে লিখে রাখি জ্যোতিপত্ৰলেখা ।” ২৩শে বৈশাখ, ১৮৮৮ ኟዓN