এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
জীবন যৌবনে ; সেই গৃঢ় মাতৃকক্ষে স্তপ্ত ছিলে এতকাল ধরণীর বক্ষে, চিররাত্রিস্বত্বশীতল বিস্মৃতি-অলয়ে ; যেথায় অনন্তকাল ঘুমায় নিৰ্ভয়ে লক্ষ জীবনের ক্লাস্তি ধূলির শয্যায় ; নিমেষে নিমেষে যেথা ঝরে’ পড়ে যায় দিবসের তাপে শুস্ক ফুল, দগ্ধ তারা, জীর্ণ কীৰ্ত্তি, শ্রান্ত সুখ, দুঃখ দাহহারা । সেথা স্নিগ্ধ হস্ত দিয়ে পাপতাপরেখা মুছিয়া দিয়াছে মাতা ; দিলে আজি দেখ। ধরিত্রার সদ্যোজাত কুমারীর মত সুন্দর সরল শুভ্র ; হয়ে’ বাক্যহত চেয়ে আছ প্রভাতের জগতের পানে ; যে শিশির পড়ে ছিল তোমার পাষাণে রাত্রিবেলা, এখন সে কঁাপিছে উল্লাসে আজানুচুম্বিত মুক্ত কৃষ্ণ কেশপাশে । যে শৈবাল রেখেছিল ঢাকিয়া তোমায় ধরণীর শ্যামশোভা অঞ্চলের প্রায় বহুবর্ষ হ’তে—পেয়ে বহু বৰ্মাধারা সতেজ, সরস, ঘন—এখনো তাহারা 8 × 8