পত্র ডেকে বলে, হেঁকে বলে, ভঙ্গী করে বেঁকে বলে— “আমার কথা শোন সবাই গান শোন আর নাই শোন । গান যে কা’কে বলে সেইটে বুঝিয়ে দেব, তাই শোন ।” টকে করেন ব্যাখা করেন, জেকে ওঠে বক্তিমে, কে দেখে তার হাত পা নাড়া, চক্ষু দুটোর রক্তিমে । চন্দ্র সূৰ্য্য জলচে মিছে আকাশ খানার চালাতে— তিনি বলেন “আমিই অাছি জুলতে এবং জালাতে।” কুঞ্জবনের তানপুরোতে সুর বেঁধেছে বসন্ত, সেটা শুনে নাড়েন কর্ণ হয়নাকো তার পছন্দ । র্তারি স্তরে গাক না সবাই টপ্পা খেয়াল ধুরবোদ,— গায় না যে কেউ—আসল কথা নাইক কারো সুর বোধ ! কাগজওয়ালা সারি সাল্লি নাড়চে কাগজ হাতে নিয়ে— বাঙলা থেকে শান্তি বিদায় তিনশো কুলোর বাতাস দিয়ে! কাগজ দিয়ে নৌকা বানায় বেকার যত ছেলেপিলে,— কণ ধরে পার করবেন দু-এক পয়সা খেয়া দিলে । সস্তা শুনে ছুটে আসে যত দীর্ঘকর্ণগুলো— বঙ্গদেশের চতুৰ্দ্দিকে তাই উড়েছে এত ধূলো । ক্ষুদে ক্ষুদে “আৰ্য্য” গুলো ঘাসের মত গজিয়ে ওঠে, ছু চোলো সব জিবের ডগা কঁাটার মত পায়ে ফোটে। র্তারা ভাবেন “আমি কল্কি,” গাজার কল্কি হবেন বুঝি ! অবতারে ভরে গেল যত রাজ্যের গলি ঘুজি । \9პა
পাতা:কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।