এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হোরিখেলা
বামহস্তে গুলাব্-ভরা ঝারী
সারি সারি রাজপুতানী আসে।
পায়ে পায়ে ঘাগরা উঠে দুলে,
ওড়না ওড়ে দক্ষিণে বাতাসে।
আঁখির ঠারে চতুর হাসি হেসে—
কেসর তবে কহে কাছে আসি,—
বেঁচে এলেম অনেক যুদ্ধ করি’—
আজকে বুঝি জানে-প্রাণে মরি।–
শুনে রাজার শতেক সহচরী
হঠাৎ সবে উঠল অট্ট হাসি।
রাঙা পাগড়ি হেলিয়ে কেসর খাঁ
রঙ্গভরে সেলাম করে আসি।
সুরু হ’ল হোরির মাতামাতি,
উড়তেছে ফাগ্ রাঙা সন্ধ্যাকাশে।
নব-বরণ ধরল বকুল ফুলে,
রক্তরেণু ঝর্ল তরুমূলে,
ভয়ে পাখী কূজন গেল ভুলে
রাজপুতানীর উচ্চ উপহাসে।
কোথা হ’তে রাঙা কুজ্ঝটিকা
লাগল যেন রাঙা সন্ধ্যাকাশে।
৪১৩