শৈশবের হামাগুড়িকে জমাইয়া রাখে না। দুর্ভাগ্যক্রমে সাহিত্যভাণ্ডারে আবর্জ্জনাগুলাকে একেবারে দূর করিয়া দেওয়া যায় না। যাহা একবার প্রকাশ হইয়াছে তাহাকে বিদায় করা কঠিন।
অতএব সন্ধ্যা-সঙ্গীতকে দিয়া কাব্যগ্রন্থাবলী আরম্ভ করা গেল। ইহার কবিতাগুলির মধ্যে কবির লজ্জার কারণ যথেষ্ট আছে। কিন্তু যদি তাহার পরবর্ত্তী রচনায় কোনো গৌরবের বিষয় থাকে তবে এই প্রথম প্রয়াসের নিকট সে জন্য ঋণ স্বীকার করিতেই হইবে।
প্রভাতসঙ্গীতের কবিতাগুলি অস্পষ্ট কল্পনার কুহেলিকা হইতে বাহির হইবার পথে আসিয়াছে কিন্তু তাহাদের মধ্যে যে অস্ফুটতা জড়িত হইয়া রহিল তাহা মোচন করিবার উপায় নাই। ত্যাগ করিতে হইলে অধিকাংশই ত্যাগ করিতে হয়। কিন্তু সেরূপ নির্ব্বাসন দণ্ড দিবার মেয়াদ এখন উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে বলিয়াই এই আমার কাব্যসংগ্রহে এমন অনেক রচনা স্থান পাইল যাহারা কেবলমাত্র পরিত্যক্ত নদীপথের নুড়িগুলির মত পথের ইতিহাস নির্দেশ করিবে কিন্তু রস- ধারাকে রক্ষা করিবে না।
৵৹