পাতা:কাব্যগ্রন্থ (সপ্তম খণ্ড).pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ ৩২ নিবেদিল রাজভৃত্য,—“মহারাজ, বহু অনুনয়ে সাধুশ্রেষ্ঠ নরোত্তম তোমার সোনার দেবালয়ে না ল’য়ে আশ্রয় আজি পথপ্রান্তে তরুচছায়াতলে করিছেন নামসঙ্কীৰ্ত্তন । ভক্তবৃন্দ দলে দলে ঘেরি তারে দরদর-উচ্ছলিত আনন্দধারায় ধৌত ধন্য করিছেন ধরণীর ধূলি। শূন্যপ্রায় দেবাঙ্গন। ভৃঙ্গ যথা স্বর্ণময় মধুভাণ্ড ফেলি’ সহসা কমলগন্ধে মত্ত হ’য়ে, দ্রুত পক্ষ মেলি’ ছুটে যায় গুঞ্জরিয়া উন্মীলিত পদ্ম-উপবনে উন্মুখ পিপাসাভরে, সেই মত নরনারীগণে সোনার দেউল পানে না তাকায়ে চলিয়াছে ছুটি’ যেথায় পথের প্রান্তে ভক্তের হৃদয়পদ্ম ফুটি’ বিতরিছে স্বগের সৌরভ। রত্নবেদিকার পরে একা দেব রিক্ত দেবালয়ে ।” শুনি রাজা ক্ষোভভরে সিংহাসন হ’তে নামি’ গেলা চলি যেথা তরুচ্ছায়ে সাধু বসি তৃণাসনে ; কহিলেন নমি’ তার পায়ে, ৩৭৩