পাতা:কাব্যের কথা - চিত্তরঞ্জন দাশ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO কাব্যের কথা མི་ সহজ দিক্‌ আছে, সেই রূপের পর রূপের অবিরাম রূপস্রোতে অনুভূতি ও স্বষ্টির ভিতর দিয়া মানুষ নিজেকে চিনিয়া ফেলে ;-অমনি রূপের আসল রূপ ধরা যায় । বাঙ্গলাদেশের এই যে গানের ধারা-এই যে কল্পকলার ধারা যাহাকে জীবনের সাধনাঙ্গ হইতে তফাৎ করিয়া দেখিতে গেলে ভুল হয়, কেন না, বাঙ্গল দেশ সাধন-ধৰ্ম্মের উপরই সকল কৰ্ম্মের-সকল সৃষ্টির-সকল কল্পকলার প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল, এই সাধনাঙ্গের ভিতর দিয়া ধৰ্ম্মের যে সহজ সরল আদর্শ আমাদের প্রাণে ফুটয় উঠে, সেই আদর্শ। ঐ রূপের মধ্যেই চিত্রে সুরে, কথায় নানারূপের ব্যঞ্জনায় প্ৰকাশ হয়, যেমনই প্ৰাণে অনুভূতি হয়, অমনি রূপ-সৃষ্টি । এমন করিয়া রূপের পর রূপ, মুৰ্ত্তি, স্রোতের মত লীলাচাঞ্চল্য বারিধি-বুকে লহরে লহরে দুলিয়া উঠে। সেই লীলাতরঙ্গের যে দোলন-রেখা, সেই রেখার লীলার মধ্যে আমিও একটা রেখা, আমার সেই তরঙ্গ, আমার সেই দোলন, আমিও সেই অনন্ত লীলামুতের মধ্যে রস-রেখায় রসিয়া আছি । আমি কখন এক, কখন বহু ; আবার এই এক ও এই বহুর মাঝে দাড়াইয়া আছেন-তিনি। দোল BBDDSBBDB BDBS uBDB SDDDSODODDDB BBD BDBSDBD Mt দিয়া এই রস-সাধন করিতেছি। সেই রস-সাধন যেমন আমার ধৰ্ম্ম, সেই ধৰ্ম্মের অনুভূতির সঙ্গেই আমার যে স্বাধীন ইচ্ছা ও স্বানুভূতি, তাহা হইতেই আমার কল্পকলার সৃষ্টি । তখনই প্ৰাণের ভিতর আদর্শের পরিপূর্ণ “রসানুভূতি হয় । বাঙ্গলা দেশের গান ও চিত্রে সেই অধ্যাত্মিসাধনের রূপ ও রূপান্তরই ফুটিয়াছে, তাই আমি সেই গান ও সেই গানের চরিত চরিত্রের ধারায় বাঙ্গ লা দেশের স্বরূপকে দেখিতে পাই। শ্ৰীকৃষ্ণচৈতম্ভের জীবনে ও নিত্যানন্দের জীবনে o প্ৰেমময় রসমূৰ্ত্তি