পাতা:কাব্য-গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ) - জলধর সেন.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌরাঙ্গ বক্ষে ধরি’ রকমক রজত-তপন। নাচে রে তরল নীলে আচপল নীল ! এদিকে আঘাটে, ঘাটে আসিছে, যাইছে কত যে স্নানার্থী, তার নাহি লেখা-জোখা ! আবক্ষ নিমজ্জি নীরে কেহ মগ্ন ধ্যানে ; কেহ ভাগীরথী-স্তব পড়ে তারস্বরে ; “ববাম ববীম বীম” গ্যালবাদ্য করি।” কেহ আরাধিছে হারে । চলিছে সবেগে তীরে তীরে যাত্রীদের দানাধ্যান-ঘাট ; কোথাও সন্ন্যাসী সব বসি’ ভস্ম মাখি’ ; কোথা” উৰ্দ্ধবাহু কেহ, আছে দাড়াইয়া ; কোথা দণ্ডী, প্ৰতি অগ্ৰ-গমনের বেলা, দণ্ডব্যুৎ পড়ি” ভূমে যত্নে চুমি” ধূলি করিয়াছে দীর্ঘ যাত্ৰা ভূমি মাপি” মাপি” ; কোথা অন্ধ-আতুরেরা ভিক্ষা মাগিতেছে করুণ কাহিনী কহি” । বিস্তীর্ণ প্ৰান্তরে বসেছে বিপণীশ্রেণী ; ক্রেতার কাতার হাসিছে, ঘুরিছে সুখে কোলাহল করি” । “আতসে”-“ফানুসে”-চিত্রে ছেয়ে গেছে নেলি! সঙ-রঙা তামাসার চলিতেছে ধুম ; নাচিছে নৰ্ত্তকী ; কোথা গাইছে গায়ক ; কোথাও বা সাদুকর ভেল্কী দেখাইছে ; > 8 Qè.