পাতা:কাব্য-গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ) - জলধর সেন.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচিত্ৰ নিয়তি কে রাণী প্ৰকাশচন্দ্ৰ কলিকাতা ছাড়ি ছ’ মাসের ছুটি নিয়ে আসিলা কটকে ভগ্ন স্বাস্থ্য জোড়া দিতে। সঙ্গে পরিবার, পত্নী অমাময়ী, আর তিন বছরের শ্ৰীমান্য হরিশচন্দ্ৰ । ‘কাঠজুড়ী”-তীরে বাসা হয়েছিল ঠিক, কলরবহীন নগরের উপকণ্ঠে । মুক্ত বন্দী-পাখী। কাচা বাচ্ছ ল’ঙ্গে যেন লোকালয় ছাড়ি একান্তে বঁধিল 'এসে সুখময় নীড় । তিন মাস গেছে চলি । পীড়িত প্ৰকাশ, হয়েছেন রোগমুক্ত ৷ একদা প্ৰদোষে । স্বামী-স্ত্রীতে বসি ছাদে দেখিতেছিলেন তটিনীর জলপীলা, শীর্ণ কাঠজুড়ী : উঠেছে। লবণ্যে ভরি, नृष्टेि দোহাকার । ডুবিয়া গিয়াছে নীরে, সুখ স্বপ্ন হ’তে মাঝে মাকে হতেছিল জাগি যেন কথা । কহিলা প্ৰকাশ, “সাধ যায়, সব গোল চুকাইয়া বাধি এসে এই দেশে বাসা ।”