পাতা:কাব্য-গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ) - জলধর সেন.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্য-গ্ৰন্থাবলী যেন জীবনের কোন সুদূর অতীতে বেজেছিল হেন স্বর বাঁশরীর মত । পুনৰ্ব্বারা ভাবিলেন,-এও কি সম্ভব ? কহিলেন, “অভাগিনী, কি দুঃখ তোমার ?’, “কি দুঃখ ?-শুনিবে তুমি ? -তোমা ছাড়া আর শুনিবে বুঝিবে কে তা ! ঘৃণা কর, তবু শুলিতে এসেছি। যাব নামায়ে সে বোঝা ! পারি না, পারি না। আর রহিতে সহিতে ” বলে’ গোল আত্মকথা একটী নিশ্বাসে । ব্যাকুল কাতর কণ্ঠে কহিল যুবক, ‘বলে কি অ্যা ! এ যে সেই ! তুমি-তুমি সেই ?” প্ৰগলভ না শুনি তাহা কহিতে লাগিল আত্মভাবে ভোর হ’য়ে ৷-“কলিকাতা হ’তে যেদিন ফিরিলা স্বামী, মুমূর্ষুর মত শয্যায় ছিলাম। লীন । কাছে বসি মোর ; সযত্নে সোহাগে মেহে হাতখানি তুলে, আপন কোলের কাছে, ছোয়াইলা ঠোটে ! কহিল, -“আছা ত ভাল ?’-সে। আদরে মোর ংযম ভাসিয়া গেল, পা দুখানি তঁর } মাথায় নিলাম তুলে, কহিলাম আঁতারে, , , খুলিয়া সকল-কথা । হ’ল না ভরসা ,, । মার্জনা ভিক্ষার ! শুনিলেন স্বামী সব,