পাতা:কাব্য-গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ) - জলধর সেন.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

су о চারি সংখ্যা ব্যাপী সুদীর্ঘ সমালোচনার পর হঠাৎ ‘নব প্ৰভা’র অপঘাত মৃত্যু হয় ; সমালোচনা ও অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়। গুণগ্রাঙ্গী দ্বিজেন্দ্রলাল ‘গৌরাঙ্গের’। একজন গোড়া ছিলেন ; তিনি মৃক্ত কণ্ঠে যেখানে সেখানে এই কাব্যের গুণগান করিতেন। ‘গৌরাঙ্গ’ সংস্কৃত মহাকাব্যের লক্ষণগুলি মিলাইয়া রচিত ॐ श्रं নাই। কবি যে তাহার কাব্যটিকে এই ‘মহা’র কি বল হইতে, বঁাচাইয়াছেন, ইহাতে র্তাহার সাহিত্য-সংযম সুচিত হইয়াছে । অনর্থক সৰ্গ বাড়াইয়া কতকগুলি বাজে কথা দ্বারা গ্রন্থের কলেবর বুদ্ধি করিলে আলঙ্কারিকের ভাযায় গৌরাঙ্গকে মহাকাব্য ধল গেলেও তাহাকে খাটি-কাব্য বলা চলিত কিনা সন্দেহ । আমরা নিঃসঙ্কোচে বলিতে পারি, যদি “মহা” কথাটির আভিধানিক ব্যাখ্যা পরিয়া লওয়া যায়, এবং উহাকে প্রাচীন অলঙ্কার শাস্ত্রের নাগপাশ হইতে মুক্ত করা হয়, তবে ঐ ‘মহা” শব্দটি ‘গৌরাঙ্গ” কাবা সম্বন্ধে অধ্যাধে প্ৰয়োগ করা যাইতে পারে । ‘গৌরাঙ্গের’ key-note ‘ভক্তি যার ভারভিত্তি প্ৰেম যার প্রাণ” ; গৌরাঙ্গের সাধন মন্ত্র “জীবে দয়া বিশ্বে প্রেম পতিতে করুণা”। মানব পূজার কবি তাহার মনের মানুষটির দেখা পাইলেন ; আমনি কাব্যের নায়ক করিয়া তাহার পদতলে কাব্য-পুষ্পাঞ্জলী ঢালিয়া দিলেন ; কিন্তু কুত্ৰাপি তিনি অন্ধভক্তি চালিত হইয়া সেই বাস্তব কাব্যের নায়ককে অতিমানুষ করেন নাই। প্রমথনাথের গৌরাঙ্গ অসামান্য মানুষী, মহিমায় সমুজ্জল। এই “মানুষী মহিমা”। জীবনের ধাপগুলি না। ভঙ্গাইয়াই একেবারে মহত্ত্বের উত্তঙ্গ শিখরে চড়িয়া বসে নাই ।