পাতা:কাব্য-দর্পণ.pdf/১৯

& কাব্যদর্পণ । { ১ম পরিঃ গণ কাব্যশাস্ত্রে আদর করিবেন না ? তাহারা কি কেবল বেদাদি পাঠ করিয়া জীবনের অবশিষ্টকাল অতিবাহন করিবেন ? কখনই না, কারণ সিতোপলসেবনে রোগশাস্তি হইলে কোন ৰুগ্নব্যক্তির ভিক্তেষধি সেবনে প্রবৃত্তি জন্মে ? ভগবান বাদরায়ণও এই কাব্যের উপাদেয়ত্ব অগ্নিপুরাণে ব্যক্ত করিয়াছেন, যথা— কাব্যের উপাদেয়ত্ব। দেখ মনুষ্যজন্ম প্রথমতঃ অভ্যন্ত দুল্লভ, ভাহাতে বিদ্যালাভ আরও মুদুল্লভ হইয়াছে; নানা কষ্ট স্বীকার করিলে যদিও বিদ্যালাভ হয়, কিন্তু কবিত্বশক্তি জন্মান অতি মুকঠিন, সুতরাং কবিত্ব আরও দুল্লভ হইয়াছে; এবং যদিও সৌভাগ্যবশতঃ তাহাতে কিছু ব্যুৎপত্তি লাভ হয়, তথাপি কালিদাসাদির ন্যায় তাহতে একটা অসাধারণ শক্তি জন্মান যে কত মুদুল্লভ তাহা আর ব্যক্ত করিয়া শেষ করা যায় ন। অতএব কাব্য যে লোকে কিরূপ উপাদেয় বস্তু তাহা অগ্নিপুরাণোক্ত এই বাক্য দ্বারাই প্রতিপন্ন হইতেছে । কাব্যের গৌরব। কাব্য সম্বন্ধীয় যে কোন আলাপ ও ভানলয় বিশুদ্ধ যে কোন গান সমস্তই বিষ্ণুর অংশস্বরূপ ;