তাকায় জগৎ বাক্যস্থার ইয়োরোপের মাটির ক্ষুধা দেখে, ভব্যতা সে ভিৰ্ম্মি গেছে ভেপ সে-ওঠা টাকার গেজেয় থেকে, উবে গেছে ভক্তিশ্রদ্ধা, শিষ্টতা আড়ষ্ট হ’য়ে আছে, জড়বাদের স্বন্ধে চড়ে ধিঙ্গি-পার জিঙ্গো-জুৰু নাচে ] তিন ডাকিনী নৃত্য করে ইয়োরোপের শ্মশান-পার বুকে— লড়াই-লালচ, বড়াই-লালচ, কড়ির লালচ-নাচছে বিষম রুখে । ওখানে ঠাই নাই প্রভু আর, এই এসিয়ায় দাড়াও স’রে এসে– বুদ্ধ-জনক-কবীর-নানক-নিমাইনিতাই-শুক-সনকের দেশে ; ভাব-সাধনার এই ভুবনে এস তোমার নুতন বাণী ল’য়ে বিরাজ করো ভারত-হিয়ার ভক্তমালে নুতন মণি হয়ে ; ব্যথা-ভরা চিত্ত মোদের, খানিক ব্যথা ভুলবে তোমায় হেরি ; সত্য-সাধন-নিষ্ঠা শিখাও, বাজাও গভীর উদ্বোধনের ভেরী ; ধৈর্য্যগুঢ় বীৰ্য্য তোমার জাগুক, প্রাণের সব ভীরুতা দহি’, সহিষ্ণুতায় জিষ্ণু করে, মহামহিম আদিম সত্যাগ্ৰহী । নিগ্রহে কি নিৰ্য্যাতনে ফুরিয়ে যেন না যায় মনের বল। নিত্য-জীবন-লাভের পথে জাগুক তোমার মুক্তি আচঞ্চল ! পরের মরম বুঝতে শিখাও, হে প্রেমগুরু, চিত্তে এস নেমে, কুষ্ঠ-ক্লেদের মাঝখানে ভার দাও হে সেবার সর্বসহ প্রেমে ; মন নিতে চায় ওই আদর্শ, নাগাল না পাই, হাত ধ’রে নাও তুমি, ম'রে অমর হবার মতন দাও শকতি দীনের শরণভূমি ! সবল কর পঙ্গু ইচ্ছা, পরশ বুলাও মনের পক্ষাঘাতে, হাত ধ’রে নাও, পৌছিয়ে দাও সত্যি-বঁাচার নিত্য-স্বপ্রভাতে । বিশ্বাসে যে বল অমিত সেই অমৃতের দরজা দাও খুলে, অভয়-দাতা ! পৌছিয়ে দাও পরম-অন্নদাতার চরণ-মূলে । ব্যথার বিষে মন ঝিমালে স্মরি যেন তোমার মশান-গীতা— “ন গো আমার ত্যাগ করে না, ত্যাগ করো না, পিতা ! আমার পিতা ।” Y 8?
পাতা:কাব্য-সঞ্চয়ন (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত).djvu/১৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।