এল ওঝা ! ভূতের বোঝা নামাও এবারে, নিজের ক্ষয় অঙ্গ জেনে রোগীর সেবা রে! জীবনে হোকৃ সফল নব ত্রিবিদ্যা-সাধন,— সহজ সেবা, সরল প্রীতি, চিত্ত-প্রসাধন। 尊 * 臺 বিশ্বদেবের বিরাটু দেহে আমরা করি বাস,— তপন-তারার নয়ন-তারার একটি নীলাকাশ। এক বিনা দুই জানে নাকো একের উপাসক, সবাই সফল না হ’লে তাই হব না সার্থক। নিখিল-প্রাণের সঙ্গে মোদের ঐক্য-সাধন, হিয়ার মাঝে বিশ্ব-হিয়ার অমৃত-কণা। সবার সাথে যুক্ত আছি চিত্তে জেনেছি, প্রীতির রঙে সেবার রার্থী রাঙিয়ে এনেছি— কাজ পেয়েছি, লাজ গিয়েছে, মেতেছে আজ প্রাণ, চিত্তে ওঠে চিরদিনের চির নূতন গান। বেঁচে ম’রে থাকব না আর আলগ—আলগোছে ; লগ্ন শুভ, রাখব না আজ শঙ্কা-সঙ্কোচে। বাড়িয়ে বাহু ধরব বুকে, রাখব মমত্ব, মোদের তপে দগ্ধ হ’বে শুষ্ক মহত্ত্ব । মোদের তপে কোকড়া কুঁড়ির কুষ্ঠা হ’বে দূর,— শতদলের সকল দলের জুপ্তি পরিপুর। জগন্নাথের রথ চলিল,—উঠেছে জয় রব, উদ্বোধিত চিত্ত,-আজি সেবা-মহোৎসব । ᎼᏴᎸ
পাতা:কাব্য-সঞ্চয়ন (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত).djvu/১৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।