কথা রাখিল না যবে হীন-মনা কথার কাপ্তেনের, ” কায়েম রাখিল বকেয়া যুগের জিজিয়া-চক্ষোভের ডেরা, তখন যে-জন কুলির ধাতুতে বৈষ্ণবী সেনা স্বজি ধৈর্য্য-বীর্য্যে মোহিল জগৎ, এই সেই গান্ধিজী !
- 弗 {}
সাগরের পারে স্বদেশের মান রাখিল যে প্রাণপণে, গোরা-চাষা-দেশে নিগ্ৰহ সহি’ নিগ্রো-কুলের সনে, বিদেশে স্বদেশী বটের চারায় রোপিয়া যে নিজ-হাতে বিশ্বাস-বারি সেচনে বঁাচাল বাওবাব-আওতাতে, ভারত-প্রজারে চোরের মতন থানায় থানায় গিয়ে নাম লেখাইতে হবে শুনে, হায়, আঙুলের টপ দিয়ে, ষে বিধি অবিধি তারে নিমূল করিবারে বিধি ঠেলে দেশ-আত্মায় অপমান হ’তে বাচাতে যে গেল জেলে, গেল চলে জেলে জালাইয়া রেখে পুণ্য-জ্যোতির জাল! ভয়-তরণের সুধা-ক্ষরণের উদাহরণের মালা ! ধায় দেশী কুলি দেশী কুঠিয়াল না শোনে কাহারো মান, দেখিতে দেখিতে উঠিল ভরিয়া যত ছিল জেলখানা, মর্দে-মেয়েতে চলিল কয়েদে দলে দলে অগণন, স্বেচ্ছায় ধনী হ’ল দেউলিয়, তবু ছাড়িল না পণ । ক্ষুধিত শিশুরে বক্ষে চাপিয়া দেশ-প্রেমী কুলি-মেয়ে ইঙ্গিতে যার কষ্টের কারা বরণ করেছে ধেয়ে, দীক্ষায় যার নিরক্ষরেও সাতারে দুঃখ-নদী, বুকে অঁাকড়িয়া সদ্য-লব্ধ মৰ্য্যাদা-সম্বোধি ! তামিল-যুবক মরিয়া অমর ষে পরশ-মণি ছুয়ে, চিরপদানত মাথা তোলে যার মন্ত্র-গর্ভ ফুয়ে, পুলকে পোলক মিতালি করিল যার চারিত্র্য-গুণে, ভারতে বিলাতে আগুন জলিল যার সে দীপক শুনে, ৯৮৯