ধু ধু করে লারাদেশ ; প্রাস্তরে ছায়ার নাস্কিলেশ ; লুপ্তধারা গ্রাম নদী ; বৎস গাভী পানীয় না পায় ; স্বদুর কানন-ভূমি (দেখা যায় যার প্রান্তদেশ ) স্পন্ন-বিহীন আজি ; অভিভূত প্রভূত তন্ত্রায়। গোধূমে সর্ষপে মিলি ক্ষেত্রে রচে সুবর্ণ-সাগর, সুপ্তিরে করিয়া হেলা বিলসিছে বিস্তারিছে তারা ; নিৰ্ভয়ে করিছে পান তপণের অবিশ্রান্ত কর, মাতৃক্রোড়ে শাস্ত শিশু পিয়ে যথা পীযুষের ধারা। দীর্ঘ-নিশ্বাসের মত, সন্তাপিত মৰ্ম্মতল হতে, মৰ্ম্মর উঠিছে কভু আপুষ্ট শস্তের শীষে শীষে ; মন্থর, মহিমাময় মহোচ্ছাস জাগিয়া জগতে, যেন গো মরিয়া যায় ধূলিময় দিগন্তের শেষে। অদূরে তরুর ছায়ে গুয়ে গুয়ে শুভ্ৰ গাভীগুলি লোল গল-কম্বলেরে রহি রহি’ করিছে লেহন"; আলসে আয়ত আঁখি স্বপনেতে আছে যেন ভুলি', আনমনে দেখে যেন অস্তরের অনন্ত স্বপন । মানব ! চলেছ তুমি তপ্ত মাঠে মধ্যাহ্ন সময়ে, ও তব হৃদয়-পাত্র দুঃখে কিবা মুখে পরিপুর। পলাও ! শূন্ত এ বিশ্ব, স্বৰ্য্য শোষে তৃষামত্ত হয়ে, দেহ যে ধরেছে হেথা দুঃখে মুখে সেই হবে চুর। কিন্তু যদি পার তুমি হাসি আর অশ্রু বিবর্জিতে, চঞ্চল জগত মাঝে যদি থাকে বিস্মৃতির সাধ, অভিশাপে বরলাভে তুল্য জান-ক্ষমায় শাস্তিতে, আস্বাদিতে চাহ যদি মহান সে বিষগ্ন আহলাদ,— তে ॐौच-वशांप्री
পাতা:কাব্য-সঞ্চয়ন (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত).djvu/২৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।