ঠাকুরের ভোগ,—তাতে বামুনের বাড়ী, হাত মুখ ধুয়ে বসে পড় পাত পেতে ; বেলাও হ্রপুর,—ঠাও ক'রে নে নাড়ী, ভিন্ গায়ে যাবি,—কত দূর হবে যেতে।" ( ०२ ) * কহিল শাখারি “ঠাকুর দণ্ডবৎ, কাজের বরাতে এসেছি তোমার কাছে – বামুনবাড়ীর প্রসাদ কপালে আছে। পাঁচখানা গায়ে গরীব অনাথ যত সবাই জেনেছে দুয়ার তোমার খোলা ; পাঁচখানা গায়ে কে আছে তোমার মত ? তোমার জন্ত স্বর্গে দুলিছে দোলা । ভাল কথা,—আগে, যে কাজে এসেছি শোনো, কন্যা তোমার পরেছে ফু’গাছি শাখা ; দাম তার—এই,—তাড়াতাড়ি নেই কোনো, তবু জিজ্ঞাসি ?—আছে ত নগদ টাকা ? ( כיכ ) “খুব ভাল শাখা-ভরা সে মীনার কাজে,— তাই এত দাম।” “সে কিরে আমার মেয়ে ? কি বলিস্ তুই ? কি বকিস্তুই বাজে ?” “তোমারি তো মেয়ে, চলনা দেখিবে যেয়ে,নাহিছে সে ওই পাথর-বাধানো ঘাটে,— ডাগর চক্ষু—সেই তো পরেছে শাখা।” হাসিয়া পুজারী কহে “তাই নাকি ? বটে ! বাপু হে ! তোমার সকল কথাই ফাকা । ኟ8ማ
পাতা:কাব্য-সঞ্চয়ন (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত).djvu/২৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।