পরীর মায়া ময়না-গাছের গোছা গোছা ফুল পরিয়া চুলে, নিশাচরী যত পরী এ নিশীথে বেড়ায় বুলে । বিজনের পথ-স্যা শুধু বনের হরিণই জানে,— এ রাতে সে পথে ঘোড়া কে ছুটায় ? ভয় না মানে ? জুতায় সোনার আড়-কাটা আঁটা,—আঁধারে জলে, কাটার ওঁতায় কালে ঘোড়া তার ছুটিয়া চলে । গহনে গহনে চলিতে যখনি জ্যোৎস্না মেলে,— তাজের জলুস জ্বলে আবলুস আঁধার ঠেলে । ময়না-ফুলের মোহনিয়া মালা জড়ায়ে মাথে নিশাচরী যত পরী নাচে বনে বিজন রাতে । দলে দলে তারা লঘু লীলাভরে নৃত্য করে,— ঘুরিয়া ফিরিয়া মুরছিত মৃদ্ধ হাওয়ার পরে । কহে পরা-রাণী অশ্বারোহীরে “দুঃসাহসী । কোথা যাও ? পথ হারাতে কি চাও গহনে পশি ? অপদেবতার পড়িলে নজরে যাবে যে মরি, ফের ! ফের ! এস, এইখানে দোহে নৃত্য করি।” ময়না-ফুলের শোভন মালিকা পরিয়া চুলে নিরালয় বনে আলয় রচিয়া পরীরা বুলে । “ন, না ; পথ চেয়ে রয়েছে আমার একটি নারী ; কাল আমাদের বিবাহ ;—আমি কি দাড়াতে পারি ? পথ ছাড় ওগো ! যেতে দাও মোরে রূপসী পরী ! নিমিষের তরে নাচের আওড় বন্ধ করি । আর দেরী ক’রে দিয়োনা গো, যাব প্রিয়ার পাশে ; হের দেখ এরি মধ্যে দিবার বিভা আকাশে ।” こ、● ●
পাতা:কাব্য-সঞ্চয়ন (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত).djvu/২৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।