বর্ষ। ঐ দেখ গো আজ কে আবার পাগলি জেগেছে, ছাই মাখা তার মাথার জটায় আকাশ ঢেকেছে ! মলিন হাতে ছুয়েছে সে ছয়েছে সব ঠাই, পাগল মেয়ের জালায় পরিচ্ছন্ন কিছুই নাই ! মাঠের পারে দাড়িয়েছিল ঈশান কোণেতে,— বিশাল-শাখা পাতায়-ঢাকা শালের বনেতে ; হঠাৎ হেসে দৌড়ে এসে খেয়ালের ঝোকে, ভিজিয়ে দিলে ঘরমুখে ঐ পায়রা গুলোকে ! বজহাতের হাততালি সে বাজিয়ে হেসে চায়, বুকের ভিতর রক্তধারা নাচিয়ে দিয়ে যায় ; ভয় দেখিয়ে হাসে আবার ফিকৃফিকিয়ে সে, আকাশ জুড়ে চিক্মিকিয়ে চিক্মিকিয়ে রে! ময়ুর বলে ‘কে গো ? এযে আকুল-কর রূপ! ভেকেরা কয় নাই কোন ভয়, জগৎ রহে চুপ ; পাগলি হাসে আপন মনে পাগলি কঁাদে হায়, চুমার মত চোখের ধারা পড়ছে ধরার গায়। কোন মোহিনীর ওড়না সে আজ উড়িয়ে এনেছে, পূবে হাওয়ায় ঘুরিয়ে আমার অঙ্গে হেনেছে ; চমকে দেখি চক্ষে মুখে লেগেছে একরাশ, ঘুম-পাড়ানো কেয়ার রেণু, কদম ফুলের বাস ! বাদল হাওয়ায় আজ কে আমার পাগলি মেতেছে ; ছিন্ন কাথা সুৰ্য্যশশীর সভায় পেতেছে ! আপন মনে গান গাহে সে নাই কিছু দৃকপাত, মুগ্ধ জগৎ, মৌন দিবা, সংজ্ঞাহারা রাত ! Ôe
পাতা:কাব্য-সঞ্চয়ন (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত).djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।