সাগর তর্পণ বিশ বছরে তোমার অভাব পুরল নাকে, হায়, বিশ বছরের পুরাণে শোক নূতন আজো প্রায় ; তাই ত আজি অশ্রধারা করে নিরস্তর ! কীৰ্ত্তিম্বন মূৰ্ত্তি তোমার জাগে প্রাণেরপর । স্মরণ-চিহ্ন রাখতে পারি শক্তি তেমন নাই, প্রাণ প্রতিষ্ঠা নাই যাতে সে মূরৎ নাহি চাই ; মানুষ খুজি তোমার মত,—একটি তেমন লোক,— স্মরণ-চিহ্ন মূৰ্ত্ত!—যে জন ভুলিয়ে দেবে শোক । রিক্ত হাতে করবে যে জন যজ্ঞ বিশ্বজিৎ,— রাত্রে স্বপন চিন্তা দিনে দেশের দশের হিত,— বিঘ্ন বাধা তুচ্ছ ক'রে লক্ষ্য রেখে স্থির তোমার মতন ধন্ত হবে,—চাই সে এমন বীর । তেমন মানুষ না পাই যদি খুজব তবে, গয়, ধূলায় ধূসর বাক চটি ছিল যা’ ওই পায় ; সেই যে চটি উচ্চে যাহা উঠত এক একবার শিক্ষা দিতে অহঙ্কতে শিষ্ট ব্যবহার । সেই যে চটি—দেশী চটি—বুটের বাড়া ধন, খুজিব তারে, আন্ব তারে, এই আমাদের পণ ; সোনার পিড়েয় রাখব তারে, থাকুব প্রতীক্ষায় আনন্দহীন বঙ্গভূমির বিপুল নন্দি গায়। রাখব তারে স্বদেশ প্রতির নূতন ভিতের পর, নজর কারো লাগবে নাকো, অটুট হ’বে ঘর ! উচিয়ে মোরা রাখব তারে উচ্চে সবাকার,— বিদ্যাসাগর বিমুখ হ’ত—আমর্য্যাদায় যার। শাস্ত্রে যারা শস্ত্র গড়ে হৃদয়-বিদারণ, তর্ক যাদের অর্কফলার তুমুল আন্দোলন ; বিচার যাদের যুক্তিবিহীন অক্ষরে নির্ভর,— সাগরের এই চটি তারা দেখুক নিরস্তর – ©ፃ
পাতা:কাব্য-সঞ্চয়ন (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত).djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।