পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3කම් কাব্য-সুন্দরী । করিলেন। প্ৰণয়ের প্রতিকুলে বিবাহ দিতে গেলে কতদূর বিপত্তি ঘটিবার সম্ভাবনা, সেকসপিয়ার এই জুলিয়েটের দৃষ্টাস্তে তাহাই প্রদর্শন করিয়াছেন। শৈবলিনীও দেখাইয়াছেন, প্ৰণয়ের প্রতিকূলে বিবাহ হইলে বঙ্গবামা ও এক দিন সেই প্ৰণয়ে উত্তেজিত হইয়া কতদূর দুঃসাহসিকতায় প্রারাত্ত হইতে পারে । সেই প্ৰণয়ে তাড়িত হইয়া শৈবলিনী সংসার-ত্যাগিনী হইয়াছেন, মৃত্যুকে শত বার আহবান করিয়াছেন, এবং সৰ্ব্ব প্রকার বিপদে কম্প প্ৰদান করিয়াছেন । এই প্ৰেম-"আবেগে তিনি এতদূর অন্ধ হইয়াছিলেন, যে তজ্জন্য একজন ইংরাজের সঙ্গে সঙ্গে বেড়াইতে ও শঙ্কিত হয়েন নাই । শৈবলিনী প্ৰণয়-আবেগের উত্তেজনায় যেরূপ ব্যবসায়ে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন, তাহা সম্ভাবনীয় করিবার জন্য, বঙ্কিম বাবু দেখাইয়াছেন যে, শৈবলিনী ও প্ৰতাপের প্রণয় অতি শৈশব হইতে দিন দিন বদ্ধিত হইতেছিল । তাহা রোমিও এবং জুলিয়েটের প্রণয়ের মত সদ্যোজাত নহে। তাহা পরস্পরের সৌন্দৰ্য্যদর্শনেও উৎপন্ন হয় নাই । এ প্ৰণয়ের , মূল বাল্য-সখ্য ভাব । বয়স ক্রমে এই সখ্যভাব দম্পত্য-প্ৰণয়ে পরিণত হইয়াছিল । শৈবলিনীয় হৃদয় প্ৰতাপের হৃদয়ের সহিত মিলিত হইয়াছিল। এই মিলন ও প্রণয় দিন দিন পরস্পরের হৃদয়ে বদ্ধমূল হইতেছিল । প্ৰণয়ের প্রকৃতি এই যে, ইহার প্রথম প্ৰাবল্যের সময় বাধা পাইলেই সাজঘাতিক হইয়া পড়ে । প্ৰতাপ