পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्न्लठ्ठी । ରକର বোধ হয় অনেক দিন সুন্দরীর সহিত একত্রে বসিয়া কথাবাৰ্ত্ত কহিতেন। আমরা ইহার দৃশ্যমাত্রও চন্দ্ৰশেখর মধ্যে দেখিতে পাই না । সুন্দরীর নিকট শৈবলিনী কেমন অকস্মাৎ অজ্ঞাতভাবে আধ্য আধ হৃদয় খোলেন, এবং তৎক্ষণাৎ চতুরতার সাহিত তাহা কেমন আধ আাধ ঢাকিয়া লয়েন, এই সুন্দর দৃশ্যটি বঙ্কিমবাবু গোপন রাখিয়াছেন । গোপন রাখিয়াছেন এইজন্য, পাছে পাঠক প্ৰতাপের প্রতি আজি পৰ্য্যস্ত ও শৈবলিনীর প্রগাঢ় অনুরাগের আভাস পান ৷ আভাস পাইয়া বুঝিতে পারেন, কেন শৈবলিনী ফষ্টারের সহিত গািহত্যাগিনী হইলেন। বুঝিতে পারিয়া, সুন্দরীর সহিত যখন শৈবলিনী গৃহে ফিরিলেন না, তখন শৈবলিনীর উপর যেরূপ রাগান্ধ হইয়াছিলেন, পাছে সেই রাগ, সেই অসন্তোষের কিছু প্ৰশমত হয়—এই জন্য গ্ৰন্থকার প্ৰথমে শৈবলিনীর হৃদয় পাঠকের নিকট প্ৰকাশিত করেন নাই । প্ৰকাশিত করেন নাই বলিয়া, পাঠক । যেরূপ কৌতুহল-পরতন্ত্র এবং আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া শৈবলিনীর ভাগ্য দেখিতেছিলেন, সেরূপ ভাব কখনই ਚੋਧਿਰੂ হইতে না । প্ৰকাশিত করেন নাই বলিয়া, শৈব্যালিনীর প্রতি যেরূপ ক্রোধের উদয় হইয়াছিল, সেই ক্ৰোধ হেতুই যখন উদ্ধতা শৈবলিনী প্ৰতাপের সমক্ষে হৃদয়-কবাট খুলিয়া দিলেন, তখন শৈবলিনীর হৃদয় অধিকতর সুন্দর বোধ হইল ; যখন পাঠক