পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈবলিনী । S o\S) লুকাইয়া কাৰ্য্য করে না, কোন নীচবৃত্তি অবলম্বন করিতে অগ্রসর হয় না। সাহস যে শৈবলিনীর একটী প্ৰধান গুণ ছিল, তাহ অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে । সেই সাহস বরং তাহাকে প্ৰকাশ্য পাপ-পথে যাইতে দিবে, তথাচ গোপনীয় পথে যাইতে দিবে না । যৌবনের ধৰ্ম্ম এই যে, যৌবন গোপনীয় বিজ্ঞতার পথে বড় যাইতে চাহে না । সেই যৌবন ও প্ৰেম শৈবলিনীর সাহসকে দ্বিগুণিত করিয়াছিল । সেই সাহস ভরে, যে উপায় প্ৰথম তাহার নিকট উপস্থিত হইল, সেই উপায় অবলম্বন করিয়া তিনি প্ৰতাপের নিকট যাই তে অগ্রসারিণী হইলেন। বঙ্কিমবাবু যথার্থই বলিয়াছেন, এক এক জন বালকের প্রকৃতি এই-- রূপ যে তাহারা জুজু বলিবামাত্র ভয় পায়, এক এক জন আবার সেই জুজু দেখিতে চাহে । আমরা ও দেখিয়াছি এক এক জন নারীর প্রকৃতিই এইরূপ যে তাহারা গুপ্ত অপ্ৰকাশু্যি পথে যাইতে চাহে না । শৈবলিনীর প্রকৃতি এইরূপ ছিল । এই জনা তাহার প্ররকৃতিতে ফষ্টরের সহিত বহিৰ্গমন নিতান্ত অসম্ভাবনীয় বলিয়া আমাদিগের নিকট প্ৰতীত হয় নাই । শৈবলিনী যাহার জন্য সৰ্ব্বত্যাগিনী হইয়াছিলেন, সেই প্ৰতাপের সহিত সাক্ষাৎ হওয়াতে প্ৰতাপ হৰ্যোৎফুল্লা না হইয়া তাহাকে পাপিষ্ঠ বলিয়া গালি দিল, তাহার প্ৰণয় এবং কাৰ্য্যের জন্য তাহাকে ভৎসনা করিল। এই সমস্ত বাক্যে শৈবলিনীর হৃদয় শেলবিদ্ধ হইল ।