পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুন্দনন্দিনী । a কিছু বলিলে কুটীর মধ্যে একাকিনী বসিয়া নীরবে: কঁাদিতে থাকে । তাহার অবগুণ্ঠন বিমুক্ত মুখচন্দ্ৰিমা অল্পলোকেই দেখিতে পায়। একাকিনী থাকিতে ভাল বাসে। অন্যান্য রমণীর সহিত মিশিতে সাহসী হয় না। মিশিলে তাহাদিগের সহিত দুই একটি কথা মাত্ৰ কয় । তাহাদিগের সহিত অগ্রসারিণী হইয়া কাৰ্য্য করিতে যায় না, হয় তা এক পার্শ্বে দাড়াইয়া থাকে। অবগুণ্ঠন টানিয়া পরের সাহস ও কাৰ্য্য দেখিতে থাকে। পরের প্রতি দুই চক্ষে চাহিতেও ভয় পায় । চক্ষে চক্ষে মিলিলে আমনি নয়নপল্লব ফেলিয়া মুখ অবনত করে। মনের ইচ্ছা ব্যক্তি করিতে পারে না , ইচ্ছা হইলে মনে মনেই বিলীন হয়। কোন ইচ্ছা প্ৰকাশিত করিতে নিতান্ত অনুরোধ করিলে তাহা আপনি সাহস ভরে বলিতে পারে না ; সঙ্গিনীর সহিত চুপি চুপি কাণে কাণে কহিয়া দেয়। সে ইচ্ছা, দেখা যায়, অন্য রমণীর ইচ্ছার সহিত কিছু স্বতন্ত্র । অন্যের সহিত সে ইচ্ছার কিছু বিশেষ হইবেই হইবে। সে ইচ্ছাতে হয় তা ধীরতা আছে, নম্রতা আছে ; উচ্চাশা নাই, সাহস নাই। হরিদাসী বৈষ্ণবী আসিলে কুন্দনন্দিনী এইরূপ ব্যবহার করিয়াছিলেন। অনুরুদ্ধা না হইলে, যাহা হইত ও ঘটিত, তিনি নীরবে ও নিঃশব্দে তাহা শুনিয়া ও দেখিয়া যাইতেন। সহিষ্ণুতা, ভীরুতার ফল। সুতরাং কুন্দের ন্যায় রমণীর সহিষ্ণুতা থাকা অবশ্যম্ভাবী ধৰ্ম্ম । আবার প্রকৃত সোহাগ কি, তাহা