পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতাপ । Soዓ প্ৰবলতা ও অধীরতা, প্ৰতাপের হৃদয়ে প্রেমের শাসন ও ধৈৰ্য্য। শৈবলিনী ছুরিকা হাতে করিয়াও হৃদয় শাসন করিতে পারেন নাই, গঙ্গার তরঙ্গ সম্মুখিনী হইয়াও হৃদয় শাসন করিতে পারেন নাই, এবং বিপদের উপরে বিপদে পড়িয়াও হৃদয় শাসন করিতে পারেন নাই । তিনি প্ৰবৃত্তি-স্রোতে ভাসিতে ভাসিতে যেখানে গিয়াছেন, সেই খানেই প্ৰেমত রঙ্গ আসিয়া তাহাকে বিষম তুফানে ফেলিয়াছে। প্ৰতাপ মনে করিলেই প্ৰবৃত্তি-স্রোতে ভাসিতে পারিতেন, কিন্তু যতবার সেই প্ৰবৃত্তি-স্রোত তাহার নিকট প্রবল হইয়া উঠিয়াছে, ততবারই তাহ প্ৰত্যাখ্যান করিয়াছেন । বেদগ্রামে দেখিলেন, শৈবলিনীর জন্য তাহার হৃদয় বিষম দুৰ্দমনীয় হইয়া উঠিতেছে, তিনি সেই হৃদয়কে দমন করিবার জন্য বেদগ্ৰাম পরিত্যাগ করিলেন । শৈবলিনী প্ৰতাপের জন্য সর্বত্যাগিনী হইয়া তাহার সমীপে উপস্থিত, প্ৰতাপ তখনও তাহাকে পাপিষ্ঠা বলিয়া পরিত্যাগ করিলেন । শৈবলিনী তাহাকে ইংরাজহস্ত হইতে বিমুক্ত করিলেন, প্ৰতাপ তখন দ্বিগুণতর দৃঢ়তার সহিত হৃদয়কে সংযত করিয়া অনতিবিলম্বে শৈবলিনীকে বিদায় দিলেন । শৈবলিনীর চরিত্রে প্রকৃতির ধৰ্ম্ম, প্ৰতাপের চরিত্রে লোক ধৰ্ম্মের তেজস্বিতা । এক জন ইহলোকের সাক্ষ্য, অন্য জন পরলোকের গৌরব । শৈবলিনীর যখন বিবাহ হুইল, প্ৰতাপ ভাবিলেন,