পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

obo কাব্য-সুন্দরী । এইবারে শৈবলিনী তাহাকে পরিত্যাগ কৱিবে । কিন্তু শৈবলিনী তথাপি প্ৰতাপকে পরিত্যাগ করিলেন না । শৈবলিনী যদি সদাকাল তাহার দৃষ্টিপথে না আদিতেন, যদি প্ৰতাপকে দেখিলে শৈবলিনীর নয়ন মন প্ৰফুল্ল না। হইত, যদি প্ৰতাপের প্রতি তাহার মলিন মুখের কটাক্ষ নিশ্বাস ভরে না পড়িত, যদি তিনি চন্দ্ৰ শেখরকে লইয়া সুখস্বচ্ছন্দে সংসার-ধৰ্ম্ম করিতে পারিতেন, তাহা হইলে প্ৰতাপের বেদগ্ৰাম ত্যাগ করিবার প্রয়োজন হইত না । কিন্তু প্ৰতাপ বেদ গ্রামে দেখিলেন যে, শৈবলিনীর বিষাদংশনে তিনি একদণ্ড বেদগ্রামে আর তিষ্টিতে পারেন। না । সুতরাং তিনি বেদ গ্রাম পরিত্যাগ করিলেন এবং ভাবিলেন। শৈবলিনীকে বিসর্জন দিলাম । চন্দ্ৰশেখর তাহার যে যে উপকার করিয়াছিলেন তাহারই প্ৰত্যুপকার সাধনার্থ প্ৰতাপ শৈবলিনীকে ইংরাজের নৌকা হইতে বিমুক্ত করিয়াছিলেন। কিন্তু বিমুক্ত শৈবলিনী যখন তাহার নিকট হৃদয়-কবাট খুলিয়া দেখাইলেন,যে তাহাকেই লাভ করিবার জন্য তিনি আপনিই ফষ্টারের সঙ্গে গৃহত্যাগিনী হইয়া আসিয়াছেন, তখন প্ৰতাপ আবার সেই বিষধরীর দংশনে জর্জরিত হইলেন । ইংরাজেরা যখন প্ৰতাপকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছিল, তখন কি প্ৰতাপ আহোরাত্র ভাবিতেন না কিরূপে শৈবলিনীর হাত হইতে তিনি বিমুক্ত হইবেন ? এক এক দিন নির্জনে বসিয়া থাকিতেন আয় এই চিন্তা তাহার মনে উদিত হইত। তিনি সেই