পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re কাব্য-সুন্দরী । নির্দেশ করিব । প্ৰবল প্ৰকৃতির যে দোষ, তাহা শৈবলিঙ্গীতে সুস্পষ্ট প্ৰদশিত হইয়াছে, কিন্তু প্ৰবল প্ৰকৃতির যে দুনিবার বেগ, যে অদমনীয় তেজ, যে নির স্কুশ স্বাধীনতা, ও অবশ্যতা তাহ শৈবলিনীর ছিল । এই প্ৰকৃতি পদ্মার স্রোতের ন্যায় তীর ভূমি ভঙ্গ করিয়া, ঝটিকার ন্যায় বৃক্ষ উৎপাটন করিয়া ভয়ঙ্কর বেগে বহিয়া যায় । সম্মুখের কোন বাধাই মানে না । আমরা এই প্ৰকৃতির বেগ দেখিয়া স্তম্ভিত হই । শৈবলিনীর এই প্ৰকৃতি কিছু বিলম্বে জাগরিত হইয়াছিল। সেই জন্য তিনি বিবাহ করিয়াছিলেন । কিন্তু বিবাহের পর সেই প্ৰকৃতি যখন একবার সম্যক উদ্রি ভক্ত হইল, বাঙ্গালিনীতে ও সেই প্ৰকৃতির তেজ কিরূপ দুৰ্দািমনীয় হইতে পারে শৈবলিনী তাহা প্ৰদৰ্শন করিলেন । তেজস্বিনী শৈবলিনী ফষ্টারকে ও ভয় করেন নাই, তাহার নিকট তেজস্বি তার সহিত নিজ সতীত্ব রক্ষা করিলেন, প্ৰতাপের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, निर्ड८ग्न নবাবের সমক্ষে উপস্থিত হইয়া আশ্চৰ্য্য তেজে কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন এবং অবশেষে প্ৰতাপউদ্ধারের জন্য বৰ্ম্মধারিণী হইয়া বহির্গত হইলেন। তেজ যতদুর ষাইবার, অবাধে যাইতে লাগিল। শেষে যখন একদিকে সেই তেজ সম্যক ব্যয়িত হইল, প্ৰকৃতি তখন নিস্তেজ হইয়া একবার শান্তভােব ধারণা করিল । এ প্ৰকৃতি শান্তভাবে ধারণা করিলে সমুদ্রের ন্যায় শান্ত হয় । সমুদ্রে-চন্দ্ৰ, তারকা, গগন, একবার প্রতিবিন্বিত হইল ।