পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S do कांद7-ट्रन्लट्री । নাই । অমরনাথ প্ৰকৃতির সহিত দ্বন্দ্ব করিয়া তাহার | উপর জয়ী হইতে চাহিতেন না । তঁহার প্রকৃতি দ্বন্দ্বের অতীত হইয়া দেব ভাবে প্ৰতিষ্ঠিত হইত। তা হার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্ৰকৃতির দ্বন্দ্ৰ অতিক্ৰম করিতে চাহিত । অমরনাথ রামায়ণে সীতাকে উদ্ধার করিতেন, প্ৰতাপ সী তাকে বনবাসে পাঠাইতেন । তরুণ বয়সে প্ৰণয় কেমন স্বাভাবিক ভাবে, স্বতঃই অনিবাৰ্য্য রূপে হৃদয়ে প্রস্ফটিত হয় রজনীর জীবনে তাহাই প্ৰকাশিত করে। শকুন্তলার প্রণয় এইরূপ দুষ্মন্তকে দর্শন মাত্রে প্রোৎসাহিত হইয়াছিল, প্রোৎসাহিত হইয়া দিন দিন তাহা স্বতঃই বদ্ধিত হইতে লাগিল। বাস্তবিক হৃদয় যখন প্ৰণয়োমুখ হয়, উপযুক্ত প্ৰণয়পাত্ৰ পাইবামাত্র তাহা সমুদগত হইয়া শনৈ: শনৈঃ দৃঢ় অনুরাগে পরিণত হইতে থাকে। ঋতুচক্রমে যেমন বা সস্তী কুসুম একে একে প্রস্ফটিত হইয়া বনরাজি সুশোভিত করে, ঋতু ক্ৰমে মানব-হৃদয় ও তদ্রুপ প্ৰণয়ে কুসুমিত হইয়া জীবনকে মধুবতায় পরিপূর্ণ করে। সংসারের বাহিরে বনবাসিনী হইয়া থাকাতে শকুন্তলার নিকট বাহ্য সংসার অন্ধকারময় ছিল, তথাপি প্ৰণয় কেমন ধীরে ধীরে তাহার হৃদয়ে সমুৎপন্ন হইয়া কুসুমে, লতাকুঞ্জে, তরুরাজিতে, হরিণীতে, এবং সখীগণে ক্রমে ক্রমে বিস্তারিত হইয়াছিল, কালিদাস তাহা অপূৰ্ব্ব কৌশলে এক অতুলনীয় দৃশ্যে কুসুমসুকুমার তুলিকা-স্পশনে চিত্ৰিত করিয়াছেন । শকুন্তলা, あ