পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লবঙ্গলত । NORN স্পর্শ আন্ধের রূপোন্মাদ, তাহার পলায়ন, নিমজন, উদ্ধার,সকল বলিল। বলিয়া বলিল-ঠাকুরাণি, তোমাদের চক্ষু আছে, চক্ষু থাকিলে এত ভালবাসা বাসিতে পারে কি ?” রজনীর এই প্ৰেমগভীরতার পরিচয় পাইয়া লবঙ্গলতা মনে মনে নিশ্বাস ফেলিলেন । লবঙ্গ যে গভীরতর প্রণয় হৃদয়ের গভীরতম দেশে প্রচ্ছন্ন করিয়া পুষিয়া রাখিয়াছিলেন, তা হার সেই প্ৰণয় একবার উথলিয়া পড়িল । কিন্তু লবঙ্গ আমনি তাহা হৃদয়ের গভীর প্রদেশে পুনরায় ঢালিয়া দিলেন। মনে মনে বলিলেন “কাণি ! তুই ভালবাসার কি জানিস ! তুই লবঙ্গলতার অপেক্ষা সহস্ৰ গুণে সুখী ।” লবঙ্গল তার এ প্ৰণয় যে রজনীর প্রণয়পেক্ষা ও গভীরতর ছিল তাহার আর সন্দেহ নাই । এ-প্ৰণয় কেবল প্ৰতাপের গভীর শৈবলিনী-প্রেমের সহিত তুলনীয়। আর যদি কাহার ও সাহিত তুলনীয় হয়, তবে এক দিন চন্দ্ৰশেখরের প্রণয়ের সহিত তুলনীয় হইতে পারে । DDOtD sL s0KBSBzYD DDYY TYS mB কেবল মনে মনে তাহার স্পৰ্দ্ধা করিতেন । মকস সে প্ৰণয় জানিতে পারিল না বলিয়া ক্রুদ্ধ হইতেন । রজনীর ধীরতা ও গাম্ভীৰ্য্যের সহিত এই প্ৰণয়ের অহঙ্কার কেমন শোভনীয় দেখায় ! এই অহঙ্কারে পূর্ণ হইয়াই তিনি ধীরতা ও গাম্ভীৰ্য্যের পরিচয় দিতেন । এই অহঙ্কারে