পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুন্দনন্দিনী । ܠܹܠܹ ফল। যে বাপীকুলে প্ৰদোষকালে একদা কুন্দনন্দিনী বসিয়া নীলপ্ৰভ জলরাশিতে প্ৰতিবিম্বিত আকাশচিত্রে জলের গাম্ভীৰ্য্য দেখিতেছিলেন, কুন্দনন্দিনী জানিতেন না যে, সেই স্থির নীলবৰ্ণ, কাল জলরাশি তাহার হৃদয়ের সদৃশ বলিয়াই সেখানে বসিয়া তিনি হৃদয়ের প্রতিবিম্ব দেখিতে লাগিলেন, হাদয় একবার অধ্যয়ন করিলেন, সে জলে তিনি নিজে নিমজ্জিত হইতে পারিলেন না ; তাহা অপরকে নিমজ্জিত করিতে পারিত। কুন্দনন্দিনীর হৃদয় তেমতি তরল, তেমতি পূর্ণ, তেমতি নীল, তেমতি কালিমায় সুগভীর। যে হৃদয়াকাশ। ইহার উপর আসিয়া পড়িত, তাহার সুন্দর তারকাবলি ইহাতে প্ৰতিবিম্বিত হইয়া ইহার সৌন্দৰ্য্য বৰ্দ্ধন করিত, ইহার গাম্ভীৰ্য্য দেখাইতি, ইহার কালিমা এবং তরলতা প্ৰকাশিত করিত। সুৰ্য্যমুখী সেই হৃদয়াকাশ, নগেন্দ্ৰ সেই হৃদয়াকাশ এবং কমলমণি সেই অশেষ তারারাজিত হৃদয়াকাশ । কুন্দনন্দিনী কেবল নগেন্দ্ৰকেই প্ৰতিবিম্বিত করিয়াছিলেন। এমত নহে, সূৰ্য্যমুখীরও বিরহে কাতরা, এবং কমলমণির ৈ সমক্ষে হৃদয় খুলিয়া দিয়াছিলেন। তাহাতে কমল হৃদয়ের তারারাজি ফুটিয়া ছিল বটে, কিন্তু সে আলোকে কুন্দনন্দিনীর হৃদয় আলোকিত হয় নাই, তাহার নীলিমা, গভীরতা ও তরলতাই প্ৰকাশ করিয়াছিল । বঙ্গ গৃহবধু যখন অবগুণ্ঠনে নিজ মুখমণ্ডল আবরিত করিয়া রাখেন, তখন কেহই জানিতে পারেন না সেই