পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ¢8 কাব্য-সুন্দরী । রঙ্গ রস মিশাইয়াছিলেন। তিনি যৌবনের সহিত বয়সের পরিণতি, চপল তার সহিত গাম্ভীৰ্যা, কর্কশতাব সহিত মধুরতা, এবং তরুণ বয়সের সহিত বিজ্ঞতা ও কৌশল অতি সুন্দরভাবে মিশাইয়া আপনাকে এক অদ্বিতীয়া রমণীরত্ন করিয়াছিলেন । কিন্তু লবঙ্গ গৰ্ব্বিতা ছিলেন। এ গৰ্ব্ব, যৌবন ও রূপের গৰ্ব্ব নহে। সাধুতা ও সদ গুণের যে গৰ্ব্ব মনে আপনাআপনি উদয় হয়, উদয় হইয়া অস্তবে অন্তরে মনকে ফুলাইয়া রাখে, প্ৰকৃতিকে তেজস্বিনী করে, বাঙ্গালিনীকে ও সাহসিনী করে এবং কুলবধূকেও ঈষৎ স্বাধীনতা দেয়, সেই গৰ্ব্ব লবঙ্গলতার ছিল । লবঙ্গ সেই গৰ্ব্বে ফুলিয়া আত্ম-কাৰ্য্যে গািরবিনীর ন্যায় যথা তথা বিচরণ করিয়া বেড়াইতেন, ধৰ্ম্মবলে বলবতী হইয়া অমরনাথের সমক্ষে ও উদয় হইতেন, তাহার তেজস্বিনী প্ৰকৃতি কিছুতেই ভয়ভী তা হইত না । জানিতেন, স্বামী তাহাকে এতদূর বিশ্বাসিনী জানেন, যে সেই স্বামীর ভয় রাখিবার কিছুই নাই । আদরিণী স্পৰ্দ্ধা করিয়া ভাবিতেন, পুরুষ আবার রমণীর কর্তা কি ? রমণী। ই পুৰুষের আজ্ঞা দায়িনী । লবঙ্গ এই জন্য তেজস্বিনী ছিলেন । তাহার সেই সেই তেজ অন্য কারণে ও কথঞ্চিৎ বদ্ধিত হইয়াছিল । বুদ্ধ পতির সোহাগ, ও শাসন-অক্ষমতায় লবঙ্গকে অদমনীয়া করিয়াছিল। তিনি নিজ সোহাগের গৌরবে: এবং পতি-সোহাগের গৰ্ব্বে ফুলিয়া বেড়াইতেন । তিনি।