পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> SR কাব্য-সুন্দরী । অবগুণ্ঠন মধ্যে কি রূপরাশি লুক্কায়িত আছে। সেই অবগুণ্ঠন বিমুক্ত হইলে যখন অচিরাৎ এক অপূৰ্ব্ব মোহিনীমূৰ্ত্তি তোমার নিকট প্ৰকাশিত হয়, তখন দেখিয়া চমকিত হও, সে কি রূপ !-না। কমলাকান্তি, সেই কমলের ন্যায় প্ৰস্ফুর্টত, সুন্দর, নবীন, মধুর, প্ৰফুল্ল অথচ সুকুমার ; সে কি রূপ l-না চন্দ্ৰবিভা, সেই চন্দ্রের ন্যায়। উজ্জ্বল, স্নিগ্ধ, কোমল অথচ আলোকময় ; নয়নমুদিত আছে, নহিলেসে নয়ন কটাক্ষে তোমার হৃদয় এখনি অস্থির হইত; কুসুমশর কোমল কি তীক্ষ এখনি জানিতে পারিতে । অধরে বর্ণরাগ ফুটিয়াছে, যেন চুম্বনের জন্য তোমাকে আহবান করিতেছে। অবগুণ্ঠন বিমুক্ত সেইরূপ-মাধুরী দেখিয়া যেমন মোহিত ও আশ্চৰ্য্য হইতে হয়, কুন্দনন্দিনীর হৃদয় নীরবতার আবরণ বিমুক্ত হইয়া যখন প্ৰকাশিত হইয়া পড়ে, আমরা তদ্রুপ মোহিত ও আশ্চৰ্য্য হই। আমরা এই আবরণ ভেদ করিয়া তাহার হৃদয় দেখিবার জন্য বরাবর তাহাকে অনুসরণ করিয়াছি। সেই ত্ৰয়োদশ বর্ষীয়া বালিকা যখন মুমূর্ষু পিতার শিয়রে বসিয়া ছল ছল করিয়া চাহিয়া আছেন, তখন ভাবিতেও পারেন না যে তাহার পিতার মৃত্যু সন্নিকট, কেন না তাহা হইলে তিনি একেবারে নিরাশ্রয়া হইবেন । মৃত্যু অঙ্কে তাহাকে শায়িত দেখিয়া ভাবিতেছেন, তিনি বুঝি আবার নিদ্রাভিভূত হইলেন। তিনি পৃথিবীর ভাব গতিক কিছুই জানেন না । তখনকার এই সরলতা দেখিয়া