পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুন্দনন্দিনী । SNSD ভাবিলাম, ইহা তাহার বালস্বভাবের অনভিজ্ঞতা মাত্ৰ ; কারণ, এই তাহার প্রথম পরিচয় । তৎপরে যখন চাপা। কুন্দকে সঙ্গে করিয়া নগেন্দ্রের দিকে লইয়া যাইতেছেন, “আসিতে আসিতে দূর হইতে তখন নগেন্দ্ৰকে দেখিয়া, কুন্দ আকস্মাৎ স্তম্ভিতের ন্যায় দাড়াইল । তাহার। আর পা সরিল না । সে বিস্ময়োৎফুল্ল লোচনে বিমূঢ়ার ন্যায় নগেন্দ্রের প্রতি চাহিয়া রহিল ।” “ দেখিল যাহাকে স্বপ্নে দেখিয়াছেন, নগেন্দ্ৰ ঠিক সেই মূৰ্ত্তি । তখন তাহাকে ভয়বিহবলা ও সন্ধু চিতা দেখিয়া নগেন্দ্ৰ কুন্দকে অনেক বুঝাইয়া বলিলেন । কুন্দ কোন উত্তর করিতে পারিল না ; কেবল বিস্ময়বিস্বফারিত লোচনে নগেন্দ্রের প্ৰতি চাহিয়া রহিল ।” তৎপরে তাহার অনুগমনে কলিকাতায় যাইলেন । এই নিরীহ, অশক্ত, সরল বালিকা যখন স্নেহময়ী কমলের নিকট লেখা পড়া শিখেন। তখন তিনি লেখা পড়া সুন্দর শিখিতে পারেন, “কিন্তু অন্য কোন কথাই বুঝেন না। বলিলে, বৃহৎ, নীল, দুইটি চক্ষু-চক্ষু দুইটি শরতের পদ্মের মত সর্বদাই স্বচ্ছ জলে ভাসিতেছে--সেই দুইটী চক্ষু নগেন্দ্রের মুখের উপর স্থাপিত করিয়া চাহিয়া থাকে, কিছুই বলে না-নগেন্দ্ৰ সে চক্ষু দেখিতে দেখিতে অন্যমনস্ক হন।” সে চক্ষের প্রভাব নগেন্দ্ৰ কেন, অন্য লোকেও বিলক্ষণ অনুভব করিত । সে দৃষ্টির সরলতা, অর্থপূর্ণতা, নিরাশ্রয়ের ভাবব্যঞ্জকতা, সূৰ্য্যমুখীও সহস্রাবাক্যে তত সুন্দর প্রকাশ R