পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 কাব্য-সুন্দরী । করিতে পারিতেন না । তারাচরণ যখন এই কুন্দনন্দিনীকে সাজাইয়া আনিয়া দেবেন্দ্রের সঙ্গে আলাপ করিয়া দিলেন, “কুন্দ তখন দেবেন্দ্রের সঙ্গে কি আলাপ করিলেন ? ক্ষণকাল ঘোমটা দিয়া দাড়াইয়া থাকিয়া কঁাদিয়া পলাইয়া গেলেন।” তঁাহার এই ব্যবহার সকলই নীরব, অথচ কত দূর ভাবব্যঞ্জক। প্ৰথমে তিনি থতিমত খাইয়া অপ্ৰস্তুত হইয়া লজ্জায় ঘোমটা দিলেন, অনন্তর কি করিবেন কিছুই জানেন না বলিয়া ক্ষণিক স্তম্ভিতভাবে দাড়াইয়া রহিলেন । দাড়াইয়া, কি ভাবিলেন । অবশেষে, একদা লজ্জায়, অপমানে, আত্মতিরস্কারে হৃদয় উদ্বেলিত হইল ; তখন তিনি কঁাদিয়া পলাইয়া গেলেন । কাহাকেও কিছু বলিলেন না । আর কোন রমণী দেবেন্দ্রের নিকট আনীত হইতে হয়তো সম্মত হইত না । কিন্তু সরলা কুন্দ কিছুই জানেন না, তিনি জড়ের মত আনীত হইলেন ; আনীত হইয়া আত্মপরিচয় দিয়া পলাইয়া গেলেন । সরলা, ভাবময়ী কুন্দকে লইয়া কি কোন ক্রীড়া চলে ? তাহার ভাবপূর্ণ জড়প্রায় ব্যবহার ক্রীড়ার অতীত । ইহার পর হরিদাসী বৈষ্ণবীর অভিনয় । নগেন্দ্রের অন্তঃপুরে হরিদাসী গাইতে আসিলে, শ্রোত্রীগণ নানাবিধ ফরমায়েস আরম্ভ করিলেন । বৈষ্ণবী সকলের হুকুম শুনিয়া কুন্দের প্রতি বিদ্যুদামতুল্য এক কটাক্ষ করিয়া কহিলাঃ