পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুন্দনন্দিনী । Sct

  • হঁ। গা তুমি কিছু ফরমাশ করিলে না ?” “কুন্দ্র তখন লজ্জাবনতমুখী হইয়া অল্প একটু হাসিল, কিছু উত্তর করিলানা । কিন্তু তখনই একজন বয়সার কাণে কাণে কহিল, কীৰ্ত্তন গায়িতে বল না ?” এতক্ষণ সবাই নানাবিধ ফরমাস করিয়াছিল, কিন্তু कून চুপ করিয়াছিল। বিশেষ রূপে অনুরুদ্ধা হইলে কুন্দ আনন্দে একটু হাসিল; কিন্তু তা বলিয়া ধৃষ্টতা দেখাইয়া উত্তর করিবার লোক তিনি নহেন। তিনি এখন পূর্ণযৌবনা, বয়স ষোড়শেরও অধিক । যুবতীর কি এই ব্যবহার ? যৌবনের সে চঞ্চলতা ও অধীরতা কোথায় ? কুন্দের ইচ্ছা মনে মনেই বিলীন হইতেছিল। অপারে। সে ইচ্ছা! জানিতে চাহিলে তিনি সাহস ভরে তাহা উচ্চারবে প্ৰকাশ করিতেও পারেন নাই। একজন বয়স্যার কাণে কাণে বলিয়া স্থির হইয়া বসিয়া রহিলেন । বঙ্কিম বাবুর এই চিত্ৰটি কেমন স্বভাবানুরূপ, কেমন সংক্ষেপে সুন্দর ও অর্থপূর্ণ ! ইহা কুন্দনন্দিনীর যথাযথই চিত্র বটে। কুন্দনন্দিনীর এই প্ৰকৃতি বিশেষ সুস্পষ্ট দেখাইবার জন্যই তিনি নানাবিধ রমণীমণ্ডলে তাহাকে আনিলেন, পরে বহুবিধা রমণীগণের সহিত তাহার। প্ৰভেদ কি, তাহা কবির একটি মাত্র সুন্দর চিত্ৰলেখায় সমুদায় প্ৰকাশিত করিয়া দিলেন ।

এতক্ষণ আমরা কুন্দনন্দিনীর প্রকৃতি বিশেষেরই পৰ্য্যালোচনা করিয়াছি। দেখিলাম সরলতা ও বালিকাদুন্ন ভ