পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV) কাব্য-সুন্দরী । আচঞ্চলতা, ভীরুতা ও মৃদুতা হেতু নিশ্চেষ্টতা, বিচিত্ৰভাবে তাহার রমণীপ্ৰকৃতিতে মিশিয়াছে। মিশিয়া এক অসামান্য বিচিত্র রমণীকে প্ৰদৰ্শন করিল। এ প্ৰকৃতির রমণী কেবল বঙ্গধামেই পাওয়া যায় । বঙ্গ রমণীর এইপ্ৰকৃতিবিশেষের ব্যবধানে কিরূপ কোমল হৃদয় লুকায়িত থাকে, তাহা বঙ্কিম বাবু এখনও প্ৰকাশিত করেন নাই । তিনি প্ৰথমে বাহ্যিরেখায় এই বিচিত্র রমণীর ছায়াপাত মাত্ৰ করিলেন ; এই ছায়াপাতেই চেনা গেল কুন্দনন্দিনী কোন প্ৰকৃতির বঙ্গ গৃহবধু। তৎপরে বঙ্কিম বাবু সহসা অথচ ধীরে ধীরে তাহার হৃদয় আবরণ খুলিতে লাগিলেন। তখন পাঠক কুন্দের হৃদয়লাবণ্য দেখিয়া আরও চমকিত হইলেন। চমকিত হইয়া বলিলেন, এমন আগৌরিবিণী মৃদু। প্রকৃতির ভিতরে যে এমন হৃদয়মাধুরী ও সৌকুমাৰ্য্য লুক্কায়িত থাকিবে তাহ বিচিত্ৰ নহে। এইরূপ প্ৰকৃতির এইরূপ হৃদয় হওয়াই উচিত, এবং এইরূপ হৃদয়ের এইরূপ প্ৰকৃতিই উপযোগিনী হইয়া থাকে। আমরা এক্ষণে কুন্দনন্দিনীর সেই হৃদয়সৌন্দৰ্য্য কথঞ্চিৎ প্ৰদৰ্শন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলাম। কুন্দের ভীরু ও কোমল প্ৰকৃতিতে প্ৰেম এত নিস্তেজ হইয়াছিল যে, ইহা কেবল নগেন্দ্রের দর্শনসুখেই অনেক পরিমাণে চরিতার্থতা লাভ করিত। তদাতিরিক্ত চরিতার্থতা প্ৰদান করা কুন্দের। কাৰ্য্য নহে। কুন্দ সেই জন্য গোপনে গোপনে কেবল নগেন্দ্ৰকে দেখিতি-প্ৰাণ ভরিয়া হৃদয়কে