পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুন্দনন্দিনী । ఎ রাগ কুন্দনন্দিনীর হৃদয়ে উঠিল। মন টলিল, শির টলিল শরীর টলিল। নগেন্দ্ৰ তাহার কে, কুন্দ এখন বিলক্ষণ ~ বুঝিতে পারিলেন। নগেন্দ্রের ভাবী-বিরহ কত কষ্টকর কুন্দ বুঝিলেন। নগেন্দ্র যখন তাহাকে এত ভালবাসে, তখন তিনি নগেন্দ্ৰকে ছাড়িয়া কিরূপে থাকিবেন । কমল তাহাকে যে সত্যসত্যই কলিকাতায় লইয়া যাইবে। এক দিকে তাহার হৃদয় নবরাগে বিষম উত্তাপিত হইতেছিল, অন্যদিকে নৈরাশ্যের শীতল হস্ত তাহাতে বিস্তুত হইতেছিল। কুন্দ এই বিপৰ্য্যয়ভাবে অস্থির হইলেন। অবশেষে তাহার হৃদয়ের নবীভূত ভােবই প্ৰবল হইয়া উঠিল। কুন্দ তখন বুঝিলেন, তিনি নগেন্দ্ৰকে না দেখিয়া এক মুহূৰ্ত্তও তিষ্ঠিতে পরিবেন না । কুন্দ জলে ডুবিয়া মরিবেন। সেও ভাল, তবু নগেন্দ্ৰকে ত্যাগ করিয়া যাইতে পারিবেন না। কুন্দ সেই নবীভূত প্ৰেমতরল হৃদয়ের অধীরতায়, এবং যৌবনের চঞ্চলতায়, অবশেষে এই সঙ্কল্প করিলেন । কুন্দের মত রমণী এতদ্ভিন্ন অন্য সঙ্কল্প করিতে পারে না । দিবালোক নিৰ্ব্বাপিত না হইতে হইতে, অৰ্দ্ধ অধীরতার সহিত, অৰ্দ্ধ গোপনের সহিত, অদ্ধ অন্ধকারে তিনি জনহীন বাপীকুলে উপস্থিত। সেখানে কুন্দ-হৃদয়ের অন্তস্তল পৰ্য্যন্ত একবার উথলিয়া উঠিল । কুন্দ চিরদিনের জন্য একবার নগেন্দ্ৰ-প্ৰেম সন্তু গুপ্ত করিতে লাগিলেন। হঠাৎ তাহার মুখ দিয়া নগেন্দ্রের নাম বহির্গত হইল। তিনি