পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O কাব্য-সুন্দরী । সেই নামোচ্চারণে উন্মাদিনী হইলেন । নির্জনে চারিদিক দেখেন আর সেই সুধাময় নামোচ্চারণ করেন । জীবনের নৈরাশ্যে তাহার এক দিন সাহস বাড়িল । এত দূর সাহস তাহার। আর কখন হয় নাই। এত দূর প্ৰেমাবেগে কখন অধীরা হয়েন নাই। এখন তিনি চেীরের মত সেই নির্জনদেশে আপনার হৃদয়ের চৌৰ্য্যধন অল্প অল্প বাহির করিতে লাগিলেন, বাহির করিয়া দেখিতে লাগিলেন ; আবার ক্ষণে ক্ষণে হৃদয়গভীরে লুকাইতে লাগিলেন । এখানে কুন্দকে কে দেখিতেছে ? তবু কুন্দের এত ভয় কেন ?-ইহা কুন্দের স্বভাব সিদ্ধ । মরিতে আসিয়া মাতার স্বপ্নের কথা মনে পড়িতে লাগিল । কুন্দ আর সুস্থির থাকিতে পারেন না । তিনি মরিবার জন্য অগ্রসারিণী হইলেন। এমত সময়ে ঘটনাক্ৰমে নগেন্দ্ৰ উপস্থিত । আশাতীত নগেন্দ্ৰ-দৰ্শনে কুন্দ স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। যে গোপনীয় নগেন্দ্ৰপ্ৰেমে তিনি আত্মবলি দিতে যাইতেছিলেন, সেই প্ৰেমপ্ৰতিমা নগেন্দ্র এত দিনের পর সহসা কুন্দের নিকট অধীরতার সহিত আপনিই উপস্থিত । প্ৰেম আসিয়া প্রোমের সহিত মিশিয়া গেল । কমলমণির কথা সত্য হইল । নগেন্দ্ৰ তাহাকে যথার্থই ভালবাসে। কুন্দের মন টলিল ; কুন্দ প্ৰেমে গলিয়া গেলেন । একি তাহার মরিবার সময় ? কুন্দের এমন সুখের সময় আর কখন উপস্থিত হয় নাই। ইহা প্ৰেম-মৃত্যুর পরলোক। কুন্দ