পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই পরলোকে পুনৰ্জীবিত হইলেন পাইলেন, পাইয়া ক্ষণেকের জন্য সুখিনী হইলেন । এই দুঃখময়ী পৃথিবীতে ক্ষণেকের জন্য স্বৰ্গসুখ পাইলেন। নগেন্দ্ৰ আসিয়া এত দিনের পর তাহাকে প্ৰিয় সম্ভাষণ করিল । তাহার জন্য কত যন্ত্রণাভোগ করিয়াছেন, সকল খুলিয়া বলিল। কুন্দ কি মধুর রব শুনিলেন ! তিনি এ নগেন্দ্ৰকে ত্যাগ করিয়া কোথায় যাইবেন ? তিনি সবে মাত্ৰ কমলমণির কথায় উদ্বোধিত হইয়াছেন। সে উদ্বোধনের আবেগ হৃদয় হইতে এখনও সম্যক প্ৰস্থান করে নাই। সেই আবেগ পুনরায় সমপ্রবল হইয়া ফিরিয়া আসিল । হৃদয় আবার তরঙ্গিত হইল । আশার মলয় বহিতে লাগিল । নৈরাশ্য চলিয়া গেল । এত দিন কেন নগেন্দ্ৰ তাহাকে আজিকার মত সম্ভাষণ করেন নাই বলিয়া, তিনি দুঃখিত হইলেন। সোহাগে সে দুঃখ গলিয়া গেল । কুন্দ আশ্রষ্টপাত করিলেন-এত দিনের পর নগেন্দ্ৰকে আপনার জ্ঞান করিয়া অশ্রদ্ভপাত । করিলেন । নগেন্দ্ৰ যখন জিজ্ঞাসা করিলেন “ কুন্দ কঁাদিতেছ। কেন ?” কুন্দ আমনি অধীর হইয়া কাদিয়া ফেলিল। কুন্দ কথা কহিতে পারিল না । তাহার হৃদয় উথলিয়া উঠিল । তখনকার ভাব বাক্যে প্ৰকাশ হয় না । নগেন্দ্রের ব্যথার কথা শুনিয়া তাহার ব্যথা একেবারে শতগুণ বাড়িয়া উঠিল । তিনি সুতরাং কঁাদিয়া ফেলিলেন । এই রোদনে যে কত অসংখ্য ভাব মিশ্রিত ছিল,