পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ কাব্য-সুন্দরী । তাহা কে বলিতে পারে? কুন্দের হৃদয়ে একদা ক্ষোভ, সন্তাপ, দুঃখ, প্ৰেম, যৌবন, অধীরতা, মমতা, আশা, অভিমান, লজা, প্ৰভৃতি কত কোমলভাব একত্রে উদিত হইয়া একত্ৰে ক্ৰনদনে পরিণত হইল। পলকে সকলই উঠিল, আর বিলীন হইল। কুন্দ নগেন্দ্ৰকে আপনার ভাবিয়া কঁাদিল ; হৃদয় ব্যথা জানাইবার নহে বলিয়া কঁাদিল । নগেন্দ্রের এ ব্যথার কথা না পাইয়াও কুন্দ যে তাহাকে এতকাল ভাল বাসিয়াছে, এবং সেই ভালবাসার জন্য যে মরিতে আসিয়াছে, কুন্দ তাহা বলিতে পারিল না বলিয়া কঁাদিল । যে প্রেমে কুন্দনন্দিনী হৃদয়ে কঁদিতেছিল, সেই প্ৰেমে কুন্দ কঁাদিল। পতিসোহাগ কি, কুন্দ। এতদিনে জানিলেন। তিনি সেই সোহাগে গালিয়া গিয়া ক্ষণিকের জন্য আত্মহারা হইলেন। এত দিনের পর প্রাণনাথের পার্শ্ববৰ্ত্তিনী হইয়া, তাহার ব্যথার কথা শুনিয়া তিনি আত্ম হারাইলেন । হৃদয়ের এ ভাব তিরোহিত না হইতে হইতে-এত ভাবোন্দ্বেগ না যাইতে যাইতে নগেন্দ্ৰ একেবারে বিবাহের প্রস্তাব করিয়া বসিলেন । আজিও কুন্দ তাহার নিকট লজ্জাভাঙ্গা হয় নাই। কুন্দ আজিও প্ৰেম প্ৰকাশ করে নাই। নগেন্দ্রের কি এখনি এই প্ৰস্তাব করিবার সময় ? আগে নগেন্দ্ৰ-হৃদয়ের সহিত কুন্দ-হৃদয়ের মিলন হউক । তবে ত কুন্দ তাহার নিকট হৃদয়ের সরল ভাব অকপটে ব্যক্তি করিবে । সে অবসর