পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুন্দনন্দিনী । SRNO এখনও উপস্থিত হয় নাই। উপস্থিত না হইতে হইতে নগেন্দ্ৰ যে প্ৰস্তাব করিলেন, কুন্দ তাহার জন্য প্ৰস্তুত ছিলেন না । এখন আবার তিনি আত্মহারা । তাহার এতদূর সাহস হয় নাই, যে তিনি নগেন্দ্ৰকে একেবারে বিবাহ করিবেন, বলিতে পারেন। এতদূর সাহস হয় নাই, যে তিনি লজ্জাকে পরাজয় করেন। সুতরাং নগেন্দ্ৰ এখন তাহাকে যাহা বলেন, তাহাতেই “না” বলিতে লাগিলেন । লজ্জা তাহাকে সকলোতেই “না” বলাইতে লাগিল। বাস্তবিক কুন্দ যে তখন কি বলিতেছেন কুন্দ তাহা জানেন না । তিনি এক “না” য়ের সুরে সকল কথাতেই না বলিতে লাগিলেন। যুবতী প্ৰণয়িনীর প্ৰাণবল্লাভের নিকট প্রথম হৃদয় খুলিবার উক্তিই এই। এ নায়ের অর্থ হঁ অথবা ইহার অর্থই নাই । ইহা লজ্জাবোধক, অপ্ৰতিভা-ভাবব্যঞ্জক। পাছে হৃদয় প্ৰকাশ হইয়া পড়ে, ইহা সেই ভাব-ব্যঞ্জক। রমণী হৃদয়ের কোমল সোহাগ, লজ্জা এই আবরণে প্ৰথমে ঢাকিতে যায়। ইহা শূন্য উক্তি মাত্র। কুন্দনন্দিনীর প্রকৃতিতে এই না দ্বিগুণতর উপযোগী। বঙ্কিমবাবুর উপন্যাস মধ্যে এমন সুন্দর স্বভাবচিত্ৰ অতি অল্পস্থলেই দেখা যায়। এই দেখুন। বঙ্কিমবাবু কুন্দ-নগেন্দ্রের মিলানদৃশ্য কেমন সুন্দর স্বাভাবিক বৰ্ণে আঁকিয়া গেলেন । নগেন্দ্ৰ যখন বলিলেন ৪ “তুমি বলিলেই বিবাহ করি”।