পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুন্দনন্দিনী । RG অশক্ত বালা ভ্ৰমরীর ন্যায় মধুচক্র নগেন্দ্ৰ বাসের চারিদিক ঘুরিয়া ঘুরিয়া হীরার উদ্যানবাসের মধ্যে কিছুকাল অবস্থিত হইলেন । এখন অপমান, লজ্জা, অভিমান তাহার হৃদয়ে প্রেমের সহিত তুমুল সংগ্রাম উপস্থিত করিল “ কুন্দের লজা-স্রোতের উপর প্রণয়-স্রোত আসিয়া পড়িল । পরস্পর প্রতিঘাতে প্ৰণয় প্রবাহই বাড়িয়া উঠিল। বড় নদীতে ছোট নদী ডুবিয়া গেল। সূৰ্য্যমুখী-কৃত অপমান ক্ৰমে বিলুপ্ত হইতে লাগিল। সূৰ্য্যমুখী আর মনে স্থান পাইলেন না-নগেন্দ্ৰই সৰ্ব্বত্র ।” তখন লজ্জা ভয়ে জলাঞ্জলি দিয়া, প্ৰেমাবেগে তাড়িত হইয়া, কুন্দনন্দিনী একদিন নগেন্দ্ৰকে দর্শন করিবেন। বলিয়া নগেন্দ্রের বৃক্ষবাটিকায় ধীরে ধীরে উপনীত হইলেন । অপমান, লাজা তাহাকে ধরিয়া রাখিতে পারিল না । সূৰ্য্যমুখী যে পতিবিরহ দুই বৎসর সহ্য করিয়াছিল, কুন্দনন্দিনীর প্ৰেমতরল হৃদয় সেই নগেন্দ্ৰবিরহ দুইদিন সহ্য করিতে পারিল না ৷ কুন্দনন্দিনীর হৃদয়-কমল যে কতদূর সৌকুমাৰ্য্যে সুন্দর ছিল তাহা ভাবিতে গেলে, এক অভূতপূৰ্ব আনন্দরসে মন আৰ্দ্ধ হইয়া যায় । লজাবতীর কোমলদল যেমন ঈষৎ অঙ্গুলিস্পর্শও সহিতে পারে না, আমনি আকুঞ্চিত হইয়া যায়, কুন্দের হৃদয় তেমনি অত্যাক্স আঘাতেও দারুণ ব্যথিত হইয়া পড়ে। সদ্য-প্ৰস্ফুটিত নবীন NO