পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV कांव-श्न्ल दी । কুসুমে যেমন অঙ্গুলিস্পর্শ করিতেও ভয় হয়, পাছে তাহার নবীনত্ব, সুষমা, ও সৌন্দৰ্য্যের ঈষৎ ব্যতিক্রম ঘটে, পাছে বর্ণের সে উজ্জ্বলতা ও সৌকুমাৰ্য্যের হানি হয়, পাছে কুসুমের কোমল অঙ্গ কোন খানে ব্যথিত হয়, কুন্দের হৃদয় স্পর্শ করিতেও তেমনি সন্ধুচিত হইতে হয়। এই হৃদয় যে ঈষৎ স্পর্শ করিতেও ভয় হয়, কমলমণি তাহা একদিন দেখাইয়া ছিলেন । কুন্দ সেই স্পর্শের আঘাতে জলমগ্ন হইতে গিয়াছিলেন। সূৰ্য্যমুখী তাহা একদিন নিদারুণ স্পর্শ করাতে কুন্দ থর থর কম্পিত কলেবর হইয়া অনতিবিলম্বে রাত্ৰিযোগেই বিবাসিনী হইয়া গেলেন । কিন্তু নগেন্দ্র যখন সে হৃদয়ে দারুণ মৰ্ম্মব্যথা দিলেন, তখন সৰ্ব্বাপেক্ষ তাহার সৌকুমাৰ্য্য অধিকতর প্রকাশিত হইল। তিনি যেরূপ যৌবনের প্ৰগাঢ় অনুরোগের সহিত নগেন্দ্ৰকে ভালবাসিতেন তাহা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। নগেন্দ্র যখন কুন্দকে ত্যাগ করিয়া সুৰ্য্যমুখীর জন্য দেশে দেশে ফিরিতে লাগিলেন, তখন কুন্দনন্দিনীর হৃদয়ে নগেন্দ্ৰ-প্ৰেম স্তম্ভিত হইয়াছিল। নগেন্দ্ৰ যাওয়াতে কুন্দনন্দিনী সুৰ্য্যমুখীর জন্য দ্বিগুণ কাতর হইলেন । এ কাতরতায় একদা অভিমান, ঘূণা, মমতা, সহানুভূতি প্ৰভৃতি অনেক ভাব মিশ্রিত ছিল। একদা ঘুণায় তিনি প্ৰাণত্যাগিনী হইতে চাহিতেন। স্বামীর অভিমানে তাহার কাতরতা দ্বিগুণ বাড়িত। মমতায় জড়িত হইয়া তিনি সুৰ্য্যমুখীর জন্য কঁাদিতেন । কিন্তু