পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কপালকুণ্ডল ॥৮ মালতীমাধবের পাঠক মাত্রেরই নিকট কপালকুণ্ডলার নাম অপরিচিত নাই। কিন্তু মালতীমাধব পাঠকের কপালকুণ্ডলার স্মৃতি অত্যন্ত্রই হৃদয়ে সঞ্চিত থাকে। আজি কালি কপালকুণ্ডলা বলিলে আর মালতীমাধবের ভৈরবীকে মনে পড়ে না । সে কপালকুণ্ডলাকে আমরা বিস্মৃত হইয়াছি। এক্ষণে আর এক কপালকুণ্ডলা আমাদিগের মনোমন্দির অধিকার করিয়াছে । তাহা বঙ্কিমবাবুর সৃষ্টি—অপূৰ্ব্ব সৃষ্টি। এখন কপালকুণ্ডলার নাম করিবামাত্ৰ এক বনবাসিনী, বন্য, আলুলায়িতকুন্তলা, প্ৰকৃতি-মধুরা, সরলা ষোড়শীকে মনে পড়ে। অমনি তাহার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য উদাত্ত ভাব মনে সঞ্চারিত হয়। প্ৰকাণ্ড বন, সমুদ্রতট, ভীষণ কাপালিক, স্থির সংকল্প নবকুমার সকলই একে একে মনে সমুদিত হইতে থাকে। মনে মনে এখন যে সমস্ত ভাব সঞ্চারিত হইতে থাকে, বঙ্কিমবাবু এই গ্ৰন্থ মধ্যে যে বিশাল ক্ষেত্ৰ qiling

  • ভারত-সংস্কারকে “মৃন্ময়ী” নামক গ্রন্থের সমালোচনাস্থলে আমি প্ৰথমে কপালকুণ্ডলা প্ৰস্তাবের আভাস দিই। এই প্ৰস্তাব তাঁহারই পূৰ্ণবিকাশ মাত্ৰ। ইহা প্ৰথমে সমালোচন রূপে আৰ্য্যদর্শনে প্রকাশিত হয়। পাছে অঙ্গভঙ্গ ঘটে এই জন্য আমি ইহাকে সেইরূপেই ব্ৰাখিয়াছি ।