পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOo दकांदJ-छ्न्द्री । রচনা করিয়াছেন, এবং যে সমস্ত রমণীয় ও ভীষণ দৃশ্যে তাহা পরিশোভিত করিয়াছেন, তাহারই সৌন্দৰ্য্য এবং গাম্ভীৰ্য্য প্ৰদৰ্শন করা এ প্ৰস্তাবের উদ্দেশ্য। যে ভূমির উপরে কপালকুণ্ডলার মহান চিত্ৰ সকল অঙ্কিত হইয়াছে, তাহার পারিপার্শ্বিক দৃশ্যাবলী অনুরূপ মহত্ত্ব ও গাম্ভীৰ্য্যে পরিপূর্ণ। বাত্যান্দোলিত মহানদের { তরঙ্গোচ্ছাসে। তরণী ভাসিয়া যাইতেছে, সমুদ্রতটে নবকুমার একাকী নির্জনদেশে প্ৰক্ষিপ্ত হইয়াছেন, সমুদ্রতটে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সিকতাময় পর্বতমালার পার্শ্বে বনস্থলী, বন্যপ্ৰান্তে শ্মশান ভুমে কাপালিকের ভয়ঙ্করী তান্ত্রিক ক্রিয়া কলাপ, বনমধ্যে পর্ণকুটার, ও কপালকুণ্ডলার ন্যায় অমানুষী সুন্দরীর সহসা আবির্ভাব ও তিরোভাব, যেন মেঘমালার মধ্যে সৌদামিনীর আশ্চৰ্য্য বিকাশ হইতেছে, এবং বনপ্রান্তে নির্জন দেশে পুরাতন দেবমন্দিরের দর্শন, এ সমস্ত দৃশ্যই মনকে উদাত্ত ও গভীর ভাবে পরিপূর্ণ করে। আবার পথিমধ্যে মতিবিবির ঐশ্বৰ্য্য, আগ্রার সম্রাটের ঐশ্বৰ্য্য, নবকুমারের গৃহ প্ৰান্তে বনস্থলী, এবং সেই বনস্থলীর মধ্যে গভীর রাজনীতে, কাপালিক, মতিবিবি এবং : কপালকুণ্ডলার। ভীষণ মন্ত্রণার জন্য একত্রে সম্মিলন— একবার মনে মনে এই সমস্ত আলোচনা করিলে তাহা কি উচ্চভাবে পরিপূর্ণ হয় না ? প্ৰকৃতির মধ্যে যাহা কিছু উদাত্ত ও মহান, পার্থিব মানব ঐশ্বৰ্য্যের দৃশ্যে যত গৌরব থাকিতে পারে, তান্ত্রিক ক্রিয়া কলাপে যে গাম্ভীৰ্য্য