পাতা:কাব্য-সুন্দরী - পূর্ণচন্দ্র বসু.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शख् िविति । NOS থাকিতে পারে, তাহা এই পুস্তকের চিত্রাবলির ক্ষেত্ৰমধ্যে সৰ্ব্বত্ৰ বৰ্ত্তমান দেখা যায় । আর এক প্রকার উদাত্ত ভাবেও চিত্রাবলির গৌরব বুদ্ধি করিয়াছে।--যে উদাত্তভাবে মানবীয় হৃদয়ের মহত্ত্ব, বীরত্ব অথবা ঔদাৰ্য্যের পরিচয় হয় ৷ প্ৰকৃতির বিশাল দৃশ্যাবলি দেখিলে যেমন হৃদয় প্রসারিত হয়, মানবের এই ঔদাৰ্য্য এবং মহত্ত্বের পরিচয়েও চিত্ত তেমনি বিম্বফারিত হইতে থাকে। কপালকুণ্ডলার পাঠকের মন এই প্ৰকার উভয়বিধ মহৎভাবে প্রশস্ত হইতে থাকে। যখন তিনি পান্থনিবাসে “সুন্দরী-সন্দর্শনে’ দেখিলেন মতিবিবি নিজ মহাৰ্য অলঙ্কার-রাশি আত্ম-শরীর হইতে উন্মুক্ত করিয়া কপালকুণ্ডলাকে পরাইতে লাগিলেন, তখন কি মতিবিবির ঔদাৰ্য্য গুণে একদা চমকিত হয়েন নাই ? যখন কপালকুণ্ডলা শিবিকারোহণে— -খুলিয়া সত্বরে কঙ্কণ, বলয়, হার, সিঁথি, কণ্ঠমালা, কুন্তল, নুপুর, কাঞ্চি, অকপট হৃদয়ে ভিক্ষুকের হস্তে সমুদায় সমৰ্পণ করি।-- লেন, তখন কি ভিক্ষুক আশাতীত ফল লাভ করাতে । ক্ষণিক আশ্চৰ্য্য জ্ঞান করিল না ? যখন পাঠক দেখেন লুৎফ-উন্নিসা এক জন দরিদ্র ব্ৰাহ্মণের জন্য আগ্রার সমুদায় ঐশ্বৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া সপ্তগ্রামে আসিলেন, যখন দেখেন সেই অনুতাপিত রমণী নবকুমারের পদতলে